বিজ্ঞাপন

রমেকে ২ শিক্ষার্থীকে মারধর: জড়িতদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম

June 14, 2021 | 9:37 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রংপুর: অসুস্থ মাকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারধরের শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। এর প্রতিবাদে রংপুরে গণপদযাত্রা করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকরা। গণপদযাত্রার পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মারধরে জড়িতদের গ্রেফতারে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে তারা। পাশাপাশি সিন্ডিকেট ও দালালমুক্ত করে হাসপাতাল রক্ষার দাবিও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তা নাহলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৪ জুন) বিকেলে ‘প্রতিবাদী রংপুর’ ব্যানারে করা গণপদযাত্রাটি রংপুর প্রেসক্লাব থেকে মেডিকেল অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে টাউন হল এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে নগরীর বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশটি শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল গুরুতর অসুস্থ। এই হাসপাতালের চিকিৎসা দরকার। বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি হাসপাতাল যেখানে লিফটে রোগী উঠলেও পয়সা দিয়ে নামতে হয়। দেশের একমাত্র সরকারি হাসপাতাল যেখানে প্রতিটি পদে পদে বাড়তি টাকা গুনতে হয়। দেশের একমাত্র সরকারি হাসপাতাল যেখানে লাশের ট্রলি ধরলেও স্টাফকে টাকা দিতে হয়। দেশের একমাত্র সরকারি হাসপাতাল যেটা কোনো প্রশাসন চালায় না, চালায় দালালরা।

বক্তারা আরও বলেন, রংপুর বিভাগের ৮ জেলার দুই কোটি মানুষের দেখার কী কেউ নেই। পুলিশ, প্রশাসন ও রাজনীতিবিদরা আর কতদিন চুপ থাকবেন? রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। হাসপাতালের চিকিৎসা জরুরি হয়ে উঠেছে। কে করাবে? দায় কার?

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে বক্তব্য দেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক, বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম বকুল, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট রাইটস্ ফোরামের সভাপতি মাহমুদ মিলন, সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ আহম্মেদ প্রমুখ।

এর আগে গত ১০ জুন রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মায়ের চিকিৎসা করাতে যায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ ও তার ছোট ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদ করিম। এ সময় জরুরি বিভাগে ভর্তি করানোর সময় অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালের প্রায় ১৫ জন কর্মচারী হামলা করে মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন