বিজ্ঞাপন

বিএডিসির বীজ বিভাগ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

June 14, 2021 | 11:42 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) আলুবীজ বিভাগকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের চুক্তিবদ্ধ আলুবীজ চাষীরা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৪ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সারাদেশের আলুবীজ চাষীদের সংগঠন ‘বিএডিসি আলুবীজ চুক্তিবদ্ধ কৃষক ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদ’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষে বিভিন্ন প্রস্তবনা তুলে ধরেন ফোরামের সভাপতি রুহুল আমিন মিলন।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্তে লিপ্ত বিএডিসির কিছু অসাধু কর্মকর্তা। দেশে সাড়ে সাত লাখ টন আলু বীজের মধ্যে মাত্র ৩৫ হাজার টন বীজ কেনা হয় চুক্তিবদ্ধ কৃষকদের কাছ থেকে। বাকি বীজ নেওয়া হয় প্রভাবশালী বেসরকারি কোম্পানি থেকে। বিএডিসির বীজকে নিম্নমানের করে বেসরকারি কোম্পানির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন ওই কর্মকর্তারা।

তারা বলেন, চাষাবাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেলেও আলুবীজের নিম্নমুখি মূল্য নির্ধারণ করা হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। আলুবীজ নেওয়ার পর টাকা পরিশোধেও নানা পায়তারা করা হয়। বৈরী আচরণের কারণে বিএডিসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হাজার হাজার কৃষক লোকসান গুনতে গুনতে ভিটেমাটি ছাড়া হচ্ছেন। এ পস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে বিএডিসিকে আবারও কৃষকবান্ধব করতে হবে। অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এখনই।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে বিএডিসির চুক্তিপত্রের একতরফা চুক্তিনামা বাতিল এবং কৃষক-বিএডিসি সমঝোতা চুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। আলুবীজ চাষীরা ব্যাপক লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি তুলে ধরে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আলুবীজের মূল্য প্রতি কেজি ৩৭ দশমিক ৫০ টাকা নির্ধারণ, আলুবীজ সংগ্রহ ও বিতরণের সময় দাম নির্ধারণ কমিটিতে চুক্তিবদ্ধ কৃষক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কমপক্ষে পাঁচজন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা, বিএডিসির নিজস্ব খামারে ভিত্তি বীজের উৎপাদন এবং সংগ্রহসহ সব প্রক্রিয়ায় কৃষক ফোরামের প্রতিনিধি রাখা, বীজ সংগ্রহের সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে আলুবীজের সব দাম পরিশোধ করা, আলুবীজ বপনের আগেই মুল্য নির্ধারণী কমিটিতে চাষীদের প্রতিনিধি অর্ন্তভুক্ত করা, বীজ সংগ্রহ, বিতরণ, মাঠের জমি বণ্টন, কৃষকদের ব্যাংকের ঋণ প্রদানে স্বচ্ছতা এবং ফোরাম নেতাদের পরামর্শ গ্রহণ, মামলা এবং চলমান প্রক্রিয়ার সঙ্গে কাউকেই বিএডিসি কোনো ধরনের হয়রানি না করা।

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন