বিজ্ঞাপন

৬০ মাত্রা বিশুদ্ধ সাড়ে ছয় কেজি ইউরেনিয়াম উৎপন্ন করেছে ইরান

June 15, 2021 | 11:40 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৬০ শতাংশ মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের সাড়ে ছয় কেজি উৎপন্ন করেছে ইরান। মঙ্গলবার (১৫ জুন) ইরান সরকারের মুখপাত্র আলি রাবিয়েই রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, গত এপ্রিল থেকে শুরু করা ৬০ শতাংশ মাত্রায় সমৃদ্ধকরণ ইউরেনিয়ামের সাড়ে ছয় কেজি ইতিমধ্যে উৎপন্ন হয়েছে। আর এ পর্যন্ত ২০ শতাংশ বিশুদ্ধ মাত্রায় ইউরেনিয়ামের ১০৮ কেজি উৎপন্ন হয়েছে।

উল্লেখ্য, পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে ৯০ শতাংশ বিশুদ্ধ মাত্রার ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন হয়। দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য উপযুক্ত এ মাত্রায় ইউরেনিয়াম উৎপন্নে অনেকটাই এগিয়ে গেছে।

গত এপ্রিলে ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রে সফলভাবে ৬০ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করে ইরান। এর আগে দেশটি ২০ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করত। ৬০ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অর্থ হলো—পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকেই যাচ্ছে তেহরান।

বিজ্ঞাপন

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে, ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে ৬০ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার ভাষণে খামেনি বলেছিলেন, ‘আমরা পরমাণু অস্ত্র বানানোর জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছি না, যদি আমরা অস্ত্র বানাতে চাই তবে কেউ আমাদের রুখতেও পারবে না’।

এদিকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে গত ৭ জুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটে জানিয়েছিলেন,  যে গতিতে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে ইরান, যদি তা জারি থাকে তাহলে দেশটির পক্ষে পরমাণু অস্ত্র বানানো মাত্র কিছু সপ্তাহের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।

মার্কিন সিনেটে ব্লিনকেন সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছিলেন, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে ইরান ফিরে আসবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি জারি রয়েছে। ইরান এখন একটি পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে কয়েক মাস দূরে। যদি কর্মসূচিটি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে শীঘ্রই তারা কয়েক সপ্তাহের দূরে চলে আসবে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে ইরানসহ ছয়টি দেশ এক চুক্তিতে সম্মত হয়। এ চুক্তির আওতায় পরমাণু সমৃদ্ধিকরণের মাত্রা কম রাখতে রাজি হয় তেহরান। এছাড়া ইরানের পরমাণু স্থাপনায় নিয়মিত পরিদর্শনের সুযোগ পায় আন্তর্জাতিক মহল। তার পরিবর্তে ইরানের ওপর পশ্চিমা বিশ্বের চাপানো শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সম্মত হয়।

তবে ২০১৮ সালে জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামের ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের ব্যাপারে একের পর এক অবরোধ আরোপ করতে থাকে ওয়াশিংটন। পরে কোণঠাসা হয়ে পড়া ইরান পরমাণু কর্মসূচি আরও বিস্তৃত করা শুরু করে।

বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবারও ইরানের সঙ্গে জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরাতে চাইছেন। গত এপ্রিল থেকে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় দুই পক্ষ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন