বিজ্ঞাপন

যুক্তরাজ্যে ৫ জুলাই উঠে যেতে পারে বিধিনিষেধ

June 20, 2021 | 10:17 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মহামারিতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া যুক্তরাজ্যের বিধিনিষেধ আগামী ৫ জুলাইর মধ্যে তুলে নেওয়া সম্ভব বলে মনে করেছেন দেশটির ব্রেন্ডন রেন নামের এক বিশেষজ্ঞ। অধিকাংশ নাগরিক ভ্যাকসিন নেওয়ায় দেশটিতে করোনার তৃতীয় আঘাত দেখা দেওয়ার সম্ভবনা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক ব্রেন্ডন রেন। দেশটির স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

ব্রেন্ডন রেন আরও বলেন, দেশটিতে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৮০ শতাংশের অধিক নাগরিক করোনার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। আর ৫৯ শতাংশ নাগরিক দুটি ডোজই নিয়েছেন।

করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হলে বৃটেনকে পুরোপুরি খুলে দেওয়ার জন্য ১৯ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রেন্ডন রেন, ‘এখনো আমাদের সতর্ক অবস্থায় থাকা দরকার। তবে সতর্কতা ও ভ্যাকসিন প্রয়োগ দুটি শব্দ। তবে যে হারে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে তা যদি ঠিক থাকে তাহলে আশা করা যায়, আমার ৫ জুলাইর মধ্যেই সব খুলে দিতে পারব।’

বিজ্ঞাপন

তবে আসন্ন শীতে নতুন এই শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের পুনরায় উত্থান ঘটতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি আবারও লকডাউন দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তারা।

সায়েন্টিফিক গ্রুপ ফর ইমার্জেন্সি (এসএজি), যারা বৃটেন সরকারকে বিভিন্ন সময় উপদেশ দেন। সেই গ্রুপের সদস্য প্রফেসর কলম সেম্পেল বলেন, চলতি বছরের শেষ দিকে শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা সাধারণ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

আগামী শীতে করোনার চতুর্থ ঢেউ আসতে পারে উল্লেখ করে টাইমস রেডিও’কে তিনি বলেন, মহামারির শেষ হলেও তার রেশ থাকতে পারে। কারণ সামাজিক বিধিনিষেধ তুলে নিলে মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে— তখন সাধারণ নিউমোনিয়া এবং ব্রঙ্কিউলাইটিসের মতো রোগগুলো দেখা দিতে পারে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সন্দেহ করছি— আগামী শীতে সাধারণ শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসগুলোর সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। এতে করে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তবে এরপর পরবর্তী বছর থেকে সবকিছু স্বাভাবিক হবে বলে আশা করি।’

এদিকে যুক্তরাজ্যের কোভিড-১৯’র পাবলিক হেলথ’র পরিচালক ডা. সুসান হপকিন্স বলেন, আগামী শীতেও আমাদের লকডাউন জারি করা লাগতে পারে। তবে নির্ভর করছে হাসপাতালগুলো অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে কি না তার ওপর।

এদিকে দেশটির সরকারি তথ্যমতে, গত তিন দিন ধরে টানা ১০ হাজার করে করোনার রোগী শনাক্ত করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যে মহামারির তৃতীয় আঘাত দেখা দেবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ব্রেন্ডন রেন বলেন, ‘আমি তেমনটা মনে করি না। তবে সবকিছু খুলে দিলে সংক্রমণ কিছুটা বাড়তে পারে— কিন্তু আমি তাকে তৃতীয় আঘাত বলব না।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘ইংল্যান্ডে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হলে ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য অগ্রহের বিষয়টি সত্যি উৎসাহজনক। এ সময় সাত লাখ তরুণ-তরুণী ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করে।’

অধ্যাপক রেন বলেন, যুক্তরাজ্যের প্রাপ্তবয়স্কদের বড় একটি অংশই ভ্যাকসিনের আওতায় চলে আসবে। এর অর্থ হলো আমরা দ্রুতই সবকিছু খুলে দিতে পারব।

সারাবাংলা/এনএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন