বিজ্ঞাপন

‘মানবপাচার সিন্ডিকেট থেকে অমি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে’

June 22, 2021 | 5:57 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: তুহিন সিদ্দিকি অমি ও তার সহযোগীরা মিলে গড়ে তুলেছে মানবপাচার সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শত শত মানুষকে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছে। আর এর মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।— এমনটাই দাবি করছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক সাংবাদিকদের অমি সম্পর্কে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে ভালো চাকরির কথা বলে শত শত মানুষকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাচার করে তারা আত্মসাৎ করেছেন কোটি কোটি টাকা। এই টাকা দিয়েই বিলাসী জীবনযাপন করে আসছিলেন অমি ও তার সহযোগীরা ‘

এ ঘটনায় গত শনিবার (১৯ জুন) ডিএমপির দক্ষিণখান থানায় অমি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি মানবপাচারের অভিযোগে একটি মামলা হয়। মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই মামলায় সিআইডি নয় জনকে গ্রেফতার করে।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতাকৃতরা হলেন- জসিম উদ্দিন (৩৬), সালাউদ্দিন (৩৫), মুসা (২৬), রাকিবুল ইসলাম রানা (৩৩), গোলাপ হোসেন বুলবুল (৩৪), জাকির হোসেন (৩৪), নাজমুল (২৫), আলম (৩৫) ও শাহজাহান সরকার (৪৩)।

তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে মানবপাচার চক্রের নয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চক্রের মূল হোতা মো. তুহিন সিদ্দিকি অমি।’

গ্রেফতাকৃতদের কাছ থেকে ৩৯৫টি পাসপোর্ট, অমির চারটি বিলাসবহুল গাড়ি, ২২টি হার্ড ডিস্ক, সম্পত্তির দলিল, ক্রেডিট কার্ড, অলিখিত স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ভিসা কার্ড, পেনড্রাইভ ও মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘অমি ও তার সহযোগীরা মানুষকে অধিক বেতনে বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করে আসছিল। কিন্তু তারা ভিকটিমদের চাকরি না দিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করে দিত। এছাড়াও তারা অনেক নিরীহ লোকদের দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চক্রটি ভিকটিমদের যথাযথ পদ্ধতিতে বিদেশ পাঠায়নি বলে এখন তারা কাজ পাচ্ছেন না। ফলে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আর অমি ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন দেশে মানবপাচার করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে আসছিল। তারা স্বল্প সময়ের মধ্যে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমনিকাণ্ড ঘটনার পর অমিকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপরই অমির জনশক্তি রফতানি অফিসে হানা দেয় সিআইডি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন