বিজ্ঞাপন

টিকটক, বিগো লাইভ, লাইকি বন্ধে হাইকোর্টে রিট

June 24, 2021 | 4:42 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশের সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেমসহ লাইকির মতো সবধরনের অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) মানবাধিকার সংগঠন ‘ল অ্যান্ড লাইফ’ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং মোহাম্মদ কাউছার এ রিট দায়ের করেন।

রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (ডিজি),বাংলাদেশ ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর, বিকাশ ও নগদকে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৯ জুন এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে লিগ্যাল নোটিশে পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার পরে কোনো ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় রিট করেন আইনজীবী।

বিজ্ঞাপন

রিটে বলা হয়ে, পাবজি এবং ফ্রি ফায়ারের মতো গেমসে বাংলাদেশের যুব সমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে। মেধাহীন হয়ে পড়ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। এসব গেমস যুব সমাজকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম ও লাইকির মতো সবধরনের অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধে সরকারকে নির্দেশনা দিতে আর্জি জানানো হয়েছে।

রিটে বলা হয়, টিকটক, লাইকি অ্যাপস ব্যবহার করে দেশের শিশু কিশোর এবং যুব সমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি নারী পাচারের ঘটনা এবং বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে অর্থপাচারের ঘটনায়ও টিকটক, লাইকি এবং বিগো লাইভের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এটি অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এবং দেশের ও জনস্বার্থের পরিপন্থী। এমনকি শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধেরও পরিপন্থী।

বিজ্ঞাপন

রিটে বলা হয়, দেশের শিশুরা বিভিন্ন অনলাইন গেমসে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। সময়ে সময়ে শিশুদের উপযোগী এবং যথাযথ অনলাইন গেমসগুলোকে সুপারিশ করার জন্য একটি মনিটরিং টিম গঠন করা অত্যন্ত জরুরি। তাই একটি মনিটরিং, মূল্যায়ন এবং সুপারিশ কমিটি গঠন করার জন্য বলা হয়েছে রিটে।

রিটে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিধান অনুযায়ী এসব অবাঞ্চিত ক্ষতিকর গেমস এবং অ্যাপসকে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে সরিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর এবং উপযোগী সাইবার পদ্ধতি সুনিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বিবাদীদের, যেটা করতে তারা ব্যর্থই হয়েছেন।

আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, ‘এর আগে নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এগুলো বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন