‘৫ তারকা মানের বিল্ডিংয়ে হবে দেশের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই পরিকল্পনার আওতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেশন সেন্টারে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা হবে। বর্তমানে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলা এই বিল্ডিং পাঁচ তারকা মানের। এখানে কোভিড-১৯ চিকিৎসার সবকিছু স্থাপন করা হলে এটিই হবে দেশের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল।

শনিবার (১০ জুলাই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন সেন্টারে ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিএসএমএমইউ’র এই বিল্ডিংটি পাঁচ তারকা মানের। সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা এখানে রয়েছে। এখানে শুধু অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে। এখানে এসি, ইলেকট্রিসিটি, পানি এবং সুন্দর স্থাপনা আছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল হবে এটি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে যত দ্রুত এই হাসপাতালটি চালু করা যায়। আমরা এখানে ৪০০ বেডের করোনা আইসিইউ স্থাপন করতে চাচ্ছি। এর বাইরেও ৪০০ বেডের এইচডিইউ (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থাপন করা হবে। এছাড়া বাকি বেড যেগুলো আছে সেগুলোর মধ্যেও অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকবে। এটি একটি বিরাট সাপোর্ট হবে। এখানে অনেক রোগী থাকতে পারবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে আমরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন বিল্ডিং দেখেছি। যাতে কোনো বিল্ডিংয়ে করোনা হাসপাতাল স্থাপন করা। গতকাল প্রায় সারাদিন ঘুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কনভেনশন হলটি বাছাই করা হয়েছে।’

দেশে সংক্রমণ বাড়ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। প্রতিদিন প্রায় ১১ হাজার লোক নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন এবং পাশাপাশি প্রায় দুইশ মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন। এজন্য আমরা খুবই দুঃখিত।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি এ মৃত্যু রোধ করার এবং সংক্রমণের হার কমিয়ে আনার। গত ১০ দিনে আমরা যদি হিসাব করি, প্রায় ৯০ হাজার লোক করোনা সংক্রমিত হয়েছে। সেজন্য খুব শিগগিরই আরও প্রায় আট-দশ হাজার লোক স্বাস্থ্যসেবায় আসবে এবং তাদের চিকিৎসা দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমাদের দেশে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ হাজার সাধারণ শয্যা রয়েছে। সেটিকে প্রতিনিয়তই বাড়ানোরর চেষ্টা করছি। আমাদের প্রায় ৮০ শতাংশ শয্যা এখন রোগীতে পূর্ণ। তাই নতুন করে শয্যা বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই।’

বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিএসএমএমইউয়ের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালটির নাম হবে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার নামে।’ কনভেনশন সেন্টারের পঞ্চম তলায় এটি বানানো হবে বলেও তিনি জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম