বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপের আশ্বাসও দিয়ে রাখলেন ডি মারিয়া

July 11, 2021 | 1:25 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

২৮ বছর পর আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছে আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের মাঠে এই মহাকাব্যের নায়ক আনহেল ডি মারিয়া। দলের পক্ষে করেছেন জয়সূচক ও একমাত্র গোল। স্বাভাবিকভাবেই ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও জমা হয়েছে ঝুলিতে। ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়ায় ডি মারিয়া বলেছেন, ‘আমরা প্রচুর স্বপ্ন দেখেছি এবং স্বপ্নটা পূরণ করতে সর্বোচ্চ যুদ্ধও করেছি।’ আসছে বছর যে বিশ্বকাপ, সেটি নিয়েও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬— পরপর তিন বছর ফাইনাল খেলেছে আর্জেন্টিনা। একটি বিশ্বকাপ, অন্য দু’টি কোপা আমেরিকা। প্রতিবারই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ডি মারিয়া ইনজুরির কারণে মিস করেছেন ফাইনাল ম্যাচ। আর্জেন্টিনাও পথ হারিয়েছে ফাইনালে। এবারের কোপায় কোচ লিওনেল স্কালোনি শুরু থেকেই ছিলেন সতর্ক। প্রতি ম্যাচে অল্প অল্প করে খেলিয়ে ডি মারিয়াকেই তুলে আনলেন ফাইনালের বড় চমক হিসেবে। তাতে ফলও মিলেছে হাতেনাতে।

গোটা টুর্নামেন্টেই ৬০/৭০ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নেমেছেন ডি মারিয়া। আর তিনি মাঠে নামার পর আর্জেন্টিনার খেলাই পাল্টে যেত। এবারের কোপায় ডি মারিয়া তাই অনেকটা সুপার-সাব তকমা পেয়ে যান। সেই ডি মারিয়াকে ফাইনালে স্কালোনি নিয়ে এলেন প্রথম একাদশে। ম্যাচের ২২ মিনিটে ব্রাজিল রক্ষণ ভেঙে আদায় করে নিয়েছেন অসাধারণ এক গোল। সেটিই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নির্ধারক হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

কোপার ফাইনালে জয়সূচক ও একমাত্র গোলটি নিয়ে ডি মারিয়া বলেন, ‘রদ্রিগো ডি পল একটি পারফেক্ট পাস দিয়েছিল। আমি চেষ্টা করেছি দ্রুত সেটিতে ফিনিশিং দিতে। সেটিই হয়েছে।’ এই গোলের সঙ্গে সঙ্গে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে করা এমন একটি গোলের কথাও স্মরণ করেন ডি মারিয়া।

আর্জেন্টিনার যে ২৮ বছরের শিরোপা খরা, তা ঘুচাতে গত একযুগ ধরে আর্জেন্টাইনদের প্রাণভ্রমরা লিওনেল মেসির মতো ডি মারিয়ার ওপরও ভরসা ছিল সবার। শেষ পর্যন্ত এবারের কোপার ফাইনালে তাদের দু’জনের উপস্থিতি দলকে সেই শিরোপা খরা থেকে মুক্ত করেছে। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতে মেসি বুঝিয়েছেন, এই অর্জনে তার ভূমিকা কতটুকু। কিন্তু ডি মারিয়ার অবদানও কম নয়। তাই দু’জনেই দু’জনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ডি মারিয়া বলেন, ‘মেসি আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। আমিও তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

মেসির মতোই প্রথম কোনো মেজর ট্রফি অর্জনের ক্ষণে মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তানদের আকুণ্ঠ সমর্থনের কথাও স্বীকার করে নিলেন ডি মারিয়া। তাদের প্রতি ‍কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করলেন। একইসঙ্গে কোপার শিরোপা জয়ের পর আসছে বছরের বিশ্বকাপের কথাও স্মরণ করিয়ে দিতে ভুললেন না মারিয়া— ‘আমি খুব খুশি। একটি বিশ্বকাপও শিগগিরই আসছে।’

ডি মারিয়ার মতো আর্জেন্টিনার ভক্ত-সমর্থকরাও এখন সংশয় নিয়ে হলেও সেদিকে তাকিয়ে থাকবেন নিশ্চয়।

সারাবাংলা/এএম/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন