বিজ্ঞাপন

মিতু হত্যা: সেই মুসাসহ ৩ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

July 12, 2021 | 7:28 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তিন আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১২ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আসামিরা হলেন— মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ ওরফে হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া ও মো. খাইরুল ইসলাম কালু। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই, চট্টগ্রাম মহানগরের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিন আসামির মধ্যে কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা বাবুলের স্ত্রী মিতুকে কিলিং মিশনের নেতৃত্বদাতা হিসেবে অভিযুক্ত। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ‘নিখোঁজ’ আছেন মুসা। তবে তার স্ত্রী পান্না আক্তারের দাবি, মুসাকে হত্যাকাণ্ডের ১৭ দিন পর প্রশাসনের লোকজন তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ মিলছে না। তদন্তে বেরিয়ে এসেছিল, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিটে কর্মরত থাকার সময় বাবুল আক্তারের সোর্স ছিলেন মুসা। গত ৩১ মে পান্না আক্তার আদালতে এ মামলার সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন।

পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) সন্তোষ কুমার চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘তিন আসামিকে আমরা গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। তারা যাতে বিদেশে পালাতে না পারেন, সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আমরা গত ৫ জুলাই আদালতে আবেদন করি। আজ (সোমবার) সেই আবেদনের শুনানি হয়েছে। আদালত তিনজনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

এই আদেশ দেশের সকল স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে পাঠানোর নির্দেশ আদালত দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে।

স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন প্রথম এই খুনে বাবুলের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞাপন

নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাত ঘুরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার তদন্তভার পড়ে পিবিআই’র ওপর। এরপর আস্তে আস্তে জট খুলতে থাকে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী চাঞ্চল্যকর এই মামলার।

গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।

একইদিন (১২ মে) দুপুরে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বাকি সাত আসামি হলেন— মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু, মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু এবং শাহজাহান মিয়া।

ওইদিন বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে জবানবন্দি দেননি বাবুল আক্তার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এনএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন