বিজ্ঞাপন

কর্ণফুলীর শাখা খালে ভেসে এলো মরা ডলফিন

July 15, 2021 | 9:56 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় একটি খালে একটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, কর্ণফুলী নদীতে ডলফিনের বিচরণ আছে। নদীতে দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যুর পর পানিতে ভেসে সেটি কর্ণফুলীর শাখা খালে চলে যায়।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পূর্ব গোমদন্ডী এলাকায় ছন্দারিয়া খালের ১৩ নম্বর রেলওয়ে ব্রিজ এলাকায় মৃত ডলফিনটি ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন প্রশাসনকে খবর দেয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিচার্স ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া সারাবাংলাকে জানান, মৃত ডলফিনটি স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ডাঙ্গায় তুলে রাখেন। বড় আকারের পূর্ণবয়স্ক ডলফিনটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে তিন ফুট। ওজন ১০০ কেজিরও বেশি। সেটিকে খালপাড়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গাঙ্গেয় প্রজাতির পুরুষ ডলফিন এটি। কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে এ ধরনের ডলফিনের বিচরণ আছে। পিঠে আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ, নৌযান, বালির ড্রেজার চলাচল করে। এর যেকোনো একটির আঘাতে এর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল অথবা তার আগেরদিন মারা যেতে পারে। সেটি একেবারে পচে গেছে। সাধারণত গাঙ্গেয় ডলফিনের চামড়া শক্ত, তবে চামড়ার নিচে কোনো মাংসপেশি নেই। ছয় ইঞ্চির মতো পুরু একটি চর্বির আস্তরণ থাকে। আঘাত পেলে চামড়ায় কোনো সমস্যা না হলেও চর্বিতে সংক্রমণ হয় এবং একপর্যায়ে সেটি মারা যায়।’

বিজ্ঞাপন

২০১৭ সাল থেকে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর ডলফিন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন গবেষকরা। এরপর হালদা নদী থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ২৯টি মৃত ডলফিন উদ্ধার হলেও কর্ণফুলী নদীতে এই প্রথম পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মনজুরুল কিবরিয়া।

কর্ণফুলী ও হালদা নদীপাড়ের বাসিন্দারা স্থানীয়ভাবে একে হুতুম বা ‍শুশুক নামে অভিহিত করেন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) গাঙ্গেয় ডলফিনকে বিপন্ন হিসেবে লাল তালিকায় রেখেছে। ২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুসারে এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ছয়মাসে হালদা নদীতে ১৮টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ১০টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। এরপর চলতি বছরের ৬ জুলাই একটি মৃত ডলফিন পাওয়া যায় হালদা নদীর শাখা খালে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন