বিজ্ঞাপন

হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা চান পুস্তক প্রকাশকরা

July 18, 2021 | 3:06 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা : এক হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা চান পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতারা। প্রকাশনা শিল্প বাঁচাতে প্রণোদনাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৮ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি।

প্রকাশক ও বিক্রেতাদের তিন দফা দাবির প্রথমটি হলো, বাংলাদেশের পুস্তক ব্যবসাখাতের জন্য কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকার সহজশর্ত ও স্বল্পসুদে ঋণের বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা। যা যেকোনো তফসিলি ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, পিকেএসএফ প্রভৃতির মাধ্যমে সমিতির পরামর্শ ও সহযোগিতায় বণ্টন ও প্রদান করা যেতে পারে।

দ্বিতীয় দাবি, প্রায় ২৬ হাজার পুস্তক ব্যবসায়ী পরিবারের জন্য এককালীন অনুদান ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান। যা ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কমিটির মাধ্যমে বিতরণ করা যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

তৃতীয় দাবি, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের লাইব্রেরিকে সমৃদ্ধ করতে একাডেমিক ও সৃজনশীল বই ক্রয়ের জন্য ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করা।

এসব দাবি আদায়ে সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, গত ১৬ মাসে বাংলাদেশের একাডেমিক এবং সৃজনশীল প্রকাশনা ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠান প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার বিক্রয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান দোকান ভাড়া, কর্মচারী বেতন ও পারিবারিক ব্যয় নির্বাহ করতে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব বা অন্যান্য মাধ্যম থেকে ঋণ নিয়ে তার ভারে জর্জরিত হয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়ছে। অথচ এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জড়িতরা যুগ যুগ ধরে শিক্ষিত জাতি গঠনে দেশের অংশীদার হিসেবে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

ছোটন বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অধিকাংশ প্রকাশক ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান প্রণোদনা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ পুস্তক বিক্রেতা স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ী, বিধায় তাদের কোনো ব্যাংক ঋণ নেই। অপরদিকে সরকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য যে অনুদান ও প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তাতেও পুস্তক ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ নেই।

অমর একুশে বইমেলায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি নিয়েও প্রকাশক ও বিক্রেতারা এই মেলায় মূলত অংশ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের লক্ষ্যে। মেলা উপলক্ষ্যে এ সময় জাতির পিতার জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রায় তিন হাজার বই প্রকাশ করেছিলেন সৃজনশীল প্রকাশকরা। বইমেলা শেষে এ প্রকাশক ও বিক্রেতারা স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। মেলায় লাভ দূরে থাকুক, কোনো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান স্টল নির্মাণ খরচও তুলতে পারেননি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি কায়সার-ই-আলম প্রধান, মেহেদী হাসান, রাজধানী শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ও সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিএস/এএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন