July 26, 2021 | 9:13 pm
সারাবাংলা ডেস্ক
বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের জাতীয় পর্যায়ের ব্র্যান্ডিংয়ের প্রয়োজন। গত শনিবার (১৭ জুলাই) ইনোভিশন কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটেড, পাঠাও এবং অ্যাঙ্করলেস বাংলাদেশের আয়োজনে বাংলাদেশি স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের সম্ভাবনা বিষয়ক ওয়েবিনারে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
দেশের এই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এশিয়ার একটি অপার সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র যা জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখতে পারে। এই ইকোসিস্টেমকে আরো সম্প্রসারিত করার ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা সহায়তা, বেসরকারি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া লিংকের মত বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।
অ্যাঙ্করলেস বাংলাদেশ এর সিইও এবং এনএসইউ স্টার্টআপ নেক্সট এর সিনিয়র অ্যাডভাইজার রাহাত আহমেদ বলেন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার বিপরীতে বাংলাদেশে স্টার্টআপের অর্থায়নের পরিমাণ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় । গত বছর ৪০ মিলিয়ন ডলার ফান্ডিং বাংলাদেশ আনতে পেরেছে যা খুবই কম।
স্টার্টআপগুলির জন্য সক্রিয় পরিবেশ তৈরির জন্য একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা তুলে ধরে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের ডিন ড. হান্নান চৌধুরী বলেন, 'দেশে প্রতিষ্ঠিত স্টার্টআপ এবং সফল ব্যবসা প্রচুর পরিমাণে থাকলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সিইও বা প্রতিষ্ঠাতার দিকটিতে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। তিনি বলেন, নেতৃত্বের প্রশিক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পিছিয়ে আছি, এমনকি আমাদের শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হবার জন্য অগ্রসর করার ক্ষেত্রে আমাদের দেশ কম সক্রিয়।'
পাঠাও এর প্রেসিডেন্ট ফাহিম আহমেদ বলেন, অনেক কোম্পানি সমস্যা সনাক্তকরণে ব্যর্থ হয়েছে এবং সমাধানের সাথে সাথে স্কেল করার বিষয়টিতেও যথেষ্ট আগ্রহী নয়।
ইনোভিশন কনসাল্টিং এর সিইও সাদরুদ্দিন ইমরান বলেন , দেশ হিসাবে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আরও কাজ করতে হবে। দেশের ভিতরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বর্তমানে কাজ হচ্ছে কিন্তু বিশ্বের স্টার্টআপ কোম্পানীগুলো সেগুলো নিয়ে অবগত না।
ল্যুজ ক্যাপিটাল এর ইনভেস্টমেন্ট অ্যাসোসিয়েট লাভিভা মাজহার বলেন, জনসংখ্যার আকারের হিসাবে বিশাল বাজার বিবেচনা করে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের সামনের দিনগুলিতে যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
কলিব্রা ইনকর্পোরেশন এর সাস ট্রান্সফর্মেশন লিডার শাম্মা রাগিব বলেন, বাংলাদেশে লজিস্টিকস, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে ।
লাইট ক্যাসল পার্টনার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিজন ইসলাম বলেন, বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের তৈরি করা এবং দেশের বাজারে প্রবেশের প্রক্রিয়ায় সংস্কারের প্রয়োজন।
ইন্টিগ্রেটেড ডায়লগ ক্যাম্পেইন ‘বাংলাদেশ মিরাকল’ সিরিজের অংশ হিসেবে এই ওয়েবিনারটি পরিচালিত হয়। ইনোভিশন কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটেড এর লিড কনসালট্যান্ট রুবাইয়াথ সারওয়ার ভার্চুয়াল আলোচনাটির মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন।
‘বাংলাদেশ মিরাকল’ সিরিজটি একটি সমন্বিত ক্যাম্পেইন, যার আয়োজন করা হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে। এই সিরিজে ইনোভিশন কন্সালটিং লিমিটেডের পার্টনার হিসেবে আরও আছে উইন্ডমিল অ্যাডভারটাইজিং, সারাবাংলা ডট নেট, কালারস ১০১.৬ এফএম, ফাইনানশিয়াল এক্সপ্রেস, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যায়ের অর্থনীতি বিভাগ ও ইয়াং ইকোনমিস্টস ফোরাম, পাঠাও, অ্যাঙ্করলেস বাংলাদেশ, প্রিন্টাগ্রাফি, কেয়ার বাংলাদেশ, আইসিসিও বাংলাদেশ, গেইন বাংলাদেশ, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ, নেক্সটজেনএডু, সিমপ্রিন্টস, বিআইআইডি এবং এম পাওয়ার।
সারাবাংলা/আরএফ/