বিজ্ঞাপন

চাকরি না পেয়ে ‘হতাশায়’ আত্মহত্যা ঢাবি শিক্ষার্থীর

April 1, 2018 | 1:22 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: হতাশা থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রামের ছাত্র তানভীর রহমান আত্মহত্যা করতে পারে বলে মনে করছে তার পরিবার। রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে থেকে তানভীরের মামা আবু বকর সিদ্দিকের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।

তিনি জানান, তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পূর্ব মেড্ডা গ্রামে। তানভীরের বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা বলেও জানান তিনি। বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে আর তানভীর ঢাকার পূর্ব শেওড়াপাড়ার থাকত। ঢাবিতে পড়ার পাশাপাশি উত্তরা একটা বায়িং হাউজে চারদিন আগে কাজ শুরু করে সে।

বিজ্ঞাপন

সিদ্দিক আরও জানান, চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছিল তানভীরের। অনেক জায়গায় পরীক্ষা দিয়েছে, কিন্তু ভালো কোনো চাকরি হয়নি। বাবা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পরও কেন চাকরি হচ্ছে না,  এ সব বিষয়ে সে হতাশাগ্রস্ত ছিল।

তিনি বলেন, ‘পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি তানভীর ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করছে। যদি সে আত্মহত্যা করেও থাকে তবে হতাশা থেকেই করেছে। চার ভাই-বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়।’

বিজ্ঞাপন

তানভীরের এব ঘনিষ্ঠ বন্ধু শফিকুল ইসলাম সবুজ জানান, তানভীর খুব ভালো ছাত্র ছিল। দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ পাশ করে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএতে ভর্তি হয়। তার বন্ধুদের সবার চাকরি হলেও তানভীর কোনো চাকরি পায়নি। সরকারি চাকরির বয়সও শেষ। সে পড়াশুনা ও চাকরির বিষয় নিয়ে খুব চাপে থাকত। তানভীরের ইচ্ছা ছিল দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি একটি চাকরির।

শনিবার মরদেহ উদ্ধারের পর  সুরতহাল করেন শাহবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শামছুর রহমান। তিনি সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেন, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমবিএ ভবনের ১০ তলার উপর থেকে আত্মহত্যার জন্য লাফ দিয়ে নিচে পড়লে গুরুতর আহত হয় তানভীর। ওপর থেকে পড়ার ফলে তার মাথার পেছনে জখম, ডান হাত ভাঙা, বাম পায়ের উরু ও গোড়ালি ভাঙা, বাম পা ভাঙা। আহত অবস্থায় তানভীরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেন ডিন অফিসের স্টাফ রাসেল হোসেন। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তানভীরকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসআর/একে/জেডএফ

অারও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

ভবন থেকে লাফ দিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন