বিজ্ঞাপন

অনুমতি থাকার পরও গণপরিবহন কম, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

August 1, 2021 | 3:23 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: যাত্রীদের দুর্ভোগ বিবেচনায় গণপরিবহন দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু এরপরও সকাল থেকে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে দেখা যায়, গণপরিবহন অনেকটাই কম। যাত্রীর তুলনায় নেই কাঙ্ক্ষিত গণপরিবহন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১ আগস্ট) রাজধানীর সদরঘাট, গুলিস্তান, পল্টন ও কাকরাইল এলাকাঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

সদরঘাটে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লঞ্চে আসছেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু সদরঘাট বাস টার্মিনাল তথা নিম্ন আদালতের সামনে দেখা গেল অসংখ্য যাত্রীর ভিড়। জানতে চাইলে আলামিন নামে একজন বলেন, ‘বরিশাল থেকে আসছি। আমি গার্মেন্টসে কাজ করি। ঈদের আগে লকডাউন দেওয়ায় গ্রামে যায়। এখন আবার গার্মেন্টস খুলে গেল। তাই যেভাবে হোক চাকরি বাঁচাতে ঢাকায় আসছি।’

যাত্রাপথে দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘লঞ্চে পা রাখার জায়গা ছিল না। এখন আবার বাসও পাচ্ছি না। সবচেয়ে ভালো আজকে লকডাউন না থাকলে।’

বিজ্ঞাপন

গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজারের সামনে দাঁড়িয়ে অসংখ্য যাত্রী। প্রশ্ন করতেই রেগে গিয়ে একজন জানালেন, এই শিথিলের মানে কী? আমরা কি মানুষ না। মাওয়া ঘাট দিয়ে আসছি। গুলিস্তানে গাড়ি থেকে নেমে দেখি কোনো বাস নাই। আমার বাসা গাজীপুর সেখানে যাব কিভাবে? বিকেলের মধ্যেই অফিসে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে।

পল্টন মোড়েও গ্রাম থেকে আসা মানুষের জটলা দেখা গেল। একটি বাস আসলেই সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। যাত্রীবাহী এসব বাসের বেশিরভাগই পল্টন মোড়ে দাঁড়াচ্ছে না। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছেই। একজন জানান, তিনি ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছেন কিন্তু কোন বাস পাননি। থাকেন টঙ্গীতে। আসছেন খুলনা থেকে। মাওয়া থেকে প্রচেষ্টা বাসে করে এসেছেন গুলিস্তান পর্যন্ত। এরপর আর বাসটি যায়নি। এখন এতোদূর রাস্তা কিভাবে যাবেন। রিকশাও যেতে চাচ্ছে না। ফলে পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় গার্মেন্টস শ্রমিকদের সুবিধার্তে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাস চলাচল করবে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যারা ঢাকায় আসছেন তারা ঢাকায় প্রবেশ করেই পড়ছেন আরেক বিপাকে। কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে গণপরিবহন না থাকায় ঢাকায় আসা মানুষেদের ভোগান্তির যেন অন্ত নেই।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/এএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন