বিজ্ঞাপন

কর্ণফুলীর তীরে মৃত ডলফিন, নেওয়া হলো চবি’র ল্যাবে

August 1, 2021 | 9:49 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীরে একটি ডলফিন মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আনুমানিক এক বছরেরও কম বয়সী প্রাণীটি ডলফিনের বাচ্চা বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এ নিয়ে ১৯ দিনে কর্ণফুলী নদীর দু’টি ডলফিন মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১ আগস্ট) দুপুরে নগরীর চান্দগাঁও থানার হামিদচর এলাকায় ডাঙ্গায় পড়ে থাকা মৃত ডলফিনটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে কয়েকজন মিলে সেটিকে এলাকায় নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে বন বিভাগ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির কর্মকর্তারা সেখানে যান।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া সারাবাংলাকে জানান, গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিনটির ওজন আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ কেজি। দৈর্ঘ্য ৩ফুট ৫ ইঞ্চি।

চট্টগ্রামের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জার মো. ইসমাইল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মনজুরুল কিবরিয়া মৃত ডলফিনটির সুরতহাল সম্পন্ন করেন।

বিজ্ঞাপন

মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘ডলফিনটি সদ্যমৃত ছিল। আমরা এর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। ধারণা করা হচ্ছে, জেলেদের জালে আটকা পড়ে সেটির মৃত্যু হয়। পরে জেলেরাই সেটি ডাঙ্গায় ফেলে যান। আমরা মৃত ডলফিনটি সংরক্ষণের জন্য ল্যাবরেটরিতে নিয়েছি।’

গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিনের বিচরণ আছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে। ২০১৭ সাল থেকে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর ডলফিন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন গবেষকরা। এরপর হালদা নদী থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ২৯টি মৃত ডলফিন উদ্ধার হয়। তবে কর্ণফুলী নদীতে গত ১৪ জুলাই একটি এবং সোমবার আরেকটি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

কর্ণফুলী ও হালদা নদীপারের বাসিন্দারা স্থানীয়ভাবে একে হুতুম বা ‍শুশুক নামে অভিহিত করেন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) গাঙ্গেয় ডলফিনকে বিপন্ন হিসেবে লাল তালিকায় রেখেছে। ২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুসারে এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

এর আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে হালদা নদীতে ১৮টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ১০টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। এরপর চলতি বছরের ৬ জুলাই একটি মৃত ডলফিন পাওয়া যায় হালদা নদীর শাখা খালে।

সারাবাংলা/আরডি/আইই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন