বিজ্ঞাপন

প্রতি ওয়ার্ডে দিনে ৬০০ ডোজ ভ্যাকসিন দেবে চসিক, শুরু ৭ আগস্ট

August 1, 2021 | 11:04 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে ৭ আগস্ট থেকে নগরীর ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৪১ ওয়ার্ডের প্রতিটিতে দিনে ৬০০ ডোজ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে প্রত্যেক ওয়ার্ডে কতটি ভ্যাকসিন কেন্দ্র থাকবে, বা কী প্রক্রিয়ায় গ্রহীতারা ভ্যাকসিন পাবেন, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামীকাল সোমবার মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১ আগস্ট) চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকদের বৈঠকে ৭ আগস্ট থেকে ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চসিকের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী।

জানতে চাইলে কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন এসেছে। এরপর আমরা বৈঠক করে ৭ আগস্ট থেকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নগরীতে এখন যত কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, তা গ্রহীতার সংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল। বিভিন্ন কেন্দ্রে মানুষকে লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আবার অনেকে সুনির্দিষ্ট তারিখ ছাড়াই ভ্যাকসিনকেন্দ্রে গিয়ে ভিড় করছেন। ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে কার্যক্রম শুরু হলে মানুষের ভোগান্তি কমবে।’

চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ১১টি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ৭ আগস্ট থেকে আমরা ৪১ ওয়ার্ডে কার্যক্রম শুরু করব। প্রত্যেক ওয়ার্ডে দিনে ৬০০ ডোজ করে ভ্যাকসিন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আপাতত আমাদের কাছে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আছে তাতে সপ্তাহখানেক দিতে পারব। এর মধ্যেই আরও ভ্যাকসিন আসবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কার্যালয় থেকে নাকি ওয়ার্ডে একাধিক ভ্যাকসিন কেন্দ্র করা হবে—সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সেলিম আক্তার।

কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী বলেন, ‘ওয়ার্ডে কতটি কেন্দ্র হবে, ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য নিবন্ধন লাগবে কি না, নাকি এনআইডি কার্ড প্রদর্শন করে ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে— সে বিষয়ে এখনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি। মেয়র মহোদয় আগামীকাল (সোমবার) সব কাউন্সিলরকে বৈঠকে ডেকেছেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হবে। সেখানে মেয়র মহোদয় দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন।’

বিজ্ঞাপন

সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনার গণ ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু হয়। জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের হিসেবে, এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে প্রায় ছয় লাখ মানুষ প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন এর অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রগুলোতে মডার্নার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রামে পাঁচ দফায় এ পর্যন্ত মোট ১২ লাখ ২২ হাজার ৪০০ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন এসেছে। এর মধ্যে আছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম ও মডার্নার ভ্যাকসিন।

গত ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে প্রথম দফায় ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পৌঁছে। দ্বিতীয় দফায় ৯ এপ্রিল এসে পৌঁছে তিন লাখ ছয় হাজার ডোজ। ওই ভ্যাকসিনগুলো ছিল অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার। গত ১৮ জুন প্রথম চীনের সিনোফার্মের ৯১ হাজার ২০০ ডোজ ভ্যাকসিন চট্টগ্রামে পৌঁছে। চতুর্থ দফায় ১১ জুলাই মডার্না ও সিনোফার্মের এক লাখ ৮৪ হাজার ভ্যাকসিন চট্টগ্রামে এসে পৌঁছে। সর্বশেষ ২৮ জুলাই এসেছে মডার্নার ১ লাখ ৬ হাজার ৮০০ ডোজ এবং সিনোফার্মের ৭৮ হাজার ৪০০ ডোজ ভ্যাকসিন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/আইই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন