রাজধানীতে বেড়েছে পথচারী ও যানবাহনের চাপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কঠোর বিধিনিষেধের ১১তম দিন চলছে। এদিনে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো দেখা গেছে পথচারী ও যানবাহনের তীব্র চাপ। সেইসঙ্গে দুয়েকটি যাত্রীবাহী বাসও চলতে দেখা গেছে।

সোমবার (২ আগস্ট) রাজধানীর চানখারপুল, গুলিস্তান, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, পল্টন, শাহবাগ ও কাকরাইল ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এদিনও ঢাকা শহরের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ। রিকশাতে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।

আব্দুল হাকিম নামে একজন পথচারী জানান, তিনি বরিশাল থেকে এসেছেন। গুলিস্তান থেকে যাবেন উত্তরায়। কিন্তু কোনো গণপরিবহন পাচ্ছেন না। রিকশাও কয়েকগুণ ভাড়া দাবি করছে।

গুলিস্তানে আরও কথা হয় পোশাক শ্রমিকরা রাবেয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, সকালে সদরঘাটে এসে পৌঁছানোর পর কোন বাস নেই। কয়েক ঘণ্টা ধরে বসে আছি। আমি থাকি গাজীপুর। এখন যেভাবেই হোক যেতে হবে।

পল্টন মোড়ে দেখা গেল যানবাহন আর মানুষের চাপ। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর কথা হলো অফিসগামী আব্দুল্লাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, গ্রাম থেকে গতকাল ঢাকায় আসছি। এখন অফিসে যেতে হবে। অফিস শ্যামলী। কিন্তু বাস নেই। তাই রিকশাতে করে যেতে হবে। কিন্তু রিকশার যে ভাড়া তাতে কিভাবে যাব, তাই অপেক্ষা করছি যদি অন্য কিছু পাই।

কাকরাইলে কথা হয় ফারজানা ইসলামের সঙ্গে। একটি বেসরকারি অফিসে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বলেন, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও অফিস চলমান। ঢাকায় যেহেতু থাকি তাই অফিস তো করতেই হচ্ছে। প্রতিদিনই এভাবে রিকশা আর বাইকে করে যাতায়াত করি। আজকে বাইকও পাচ্ছি না। উত্তরা অফিস। রিকশা ওয়ালারাও ভাড়া চায় প্রাইভেটকারের চেয়ে বেশি। কিন্তু আমরা তো সবদিক থেকে নিরুপায়।

এদিকে শাহবাগে দেখা গেল মানুষ আর যানবাহনেরও চাপ। কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে হিমশিম খাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। একজন ট্রাফিক পুলিশ জানান, গণপরিবহন বন্ধ। কিন্তু ব্যক্তিগত যানবাহন চলছে। এতো এতো ব্যক্তিগত গাড়িতে কে কী কারণে বাইরে বের হচ্ছে তা জানা সম্ভব হচ্ছে না।

সারাবাংলা/এসজে/এএম