বিজ্ঞাপন

১০ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধ, ১১ আগস্ট থেকে শুধুই স্বাস্থ্যবিধি

August 3, 2021 | 2:41 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আরও পাঁচ দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সে হিসাবে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ জারি থাকবে। ১১ আগস্ট থেকে অফিস-আদালত, গণপরিবহন ও দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে। তবে এই সময়ে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে সবাইকে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় এক বৈঠকে থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।

বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা মানুষের জীবনযাত্রা ও চলাচল সহজ করে দেবো। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে অনেক বেশি কঠোর হব। সবকিছু খোলা থাকবে। কিন্তু সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

আরও পড়ুন- ১১ আগস্ট থেকে গণপরিবহনের সঙ্গে খুলবে অফিস ও দোকান

বিজ্ঞাপন

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আগামী সাত দিনে আমরা ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেবো। ওয়ার্ড পর্যায়ে ১৪ হাজার কেন্দ্রের মাধ্যমে মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুইটি করে কেন্দ্র থাকবে, আর সিটিতে থাকবে পাঁচ-ছয়টি কেন্দ্র। এক্ষেত্রে আমরা বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেবো। আশা করি সবাই নিজ দায়িত্বে কেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিন নেবেন।

১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলেও জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। সেক্ষেত্রে সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে আবারও আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে কঠোর হওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়নের কথাও জানান।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, দেশের ১৮ বছরের বেশি সব নাগরিক ভ্যাকসিন নেবেন। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না, তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করা হবে। আমরা জানি না করোনার সংক্রমণ কবে কমবে। কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি নিতে চলতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত বছরের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ জারি করে আসছে সরকার। গত বছরের শেষের দিকে সংক্রমণ কমে এলে জীবনযাত্রা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। তবে এ বছরের মার্চ থেকে ফের সংক্রমণ বাড়তে থাকলে সরকারকে ফের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়।

এর অংশ হিসেবে গত ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। পরে সেই বিধিনিষেধ আরও দুই দিনের জন্য বাড়ানো হয়। আর ১৪ এপ্রিল থেকে আট দিনের জন্য জারি করা হয় কঠোর বিধিনিষেধ। পরে দফায় দফায় সেই কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে বিধিনিষেধের আওতা কমতে থাকে। জুনের শেষ নাগাদ ফের প্রায় স্বাভাবিকতায় ফিরে আসে দেশ।

এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ ও করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু ফের নতুন করে রেকর্ড ছাড়াতে শুরু করে। এ অবস্থায় ১ জুলাই থেকে সাত দিনের জন্য ফের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। পরে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সেই বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ শিথিল ঘোষণা করেছিল সরকার। তবে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফের কঠোর বিধিনিষেধের আদেশ ছিল। সেটি এবার বাড়ানো হলো ১০ আগস্ট পর্যন্ত। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ১১ আগস্ট থেকে ফের বিধিনিষেধ শিথিল করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে জোর দিচ্ছে সরকার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এএম/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন