April 2, 2018 | 10:03 am
॥ সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ॥
ঢাকা: সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে উচ্চ-মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা। সোমবার দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ৮ হাজার ৯৪৩টি প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ জন।
দেশের মোট আট হাজার ৯৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী মোট দুই হাজার ৫৪১টি কেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৭৯টি ও কেন্দ্র বেড়েছে ৪৪টি।
আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে দশ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে এক লাখ ১২৭ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম-এ এক লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪ জন এবং ডিআইবিএসে ৯৬৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছয় লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন ছাত্র এবং ছয় লাখ ১৮ হাজার ৭২৭ জন ছাত্রী। এবার বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৯৯ জন শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে ১৫৯ জন ছাত্র এবং ১৪০ জন ছাত্রী।
প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে এবার অন্যবারের চেয়ে কঠোর ও কৌশলী নীতি অবলম্বন করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে অতীতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটলেও এ পরীক্ষায় তেমনটি ঘটবে না।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে আসন নিতে হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রোববার বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে যত রকম উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন, এর সবই করা হয়েছে। আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এবছর পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে এসএমএস করে সেট কোড এর নির্দেশনা পাঠানো হয়। তারপর প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হয়। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন, যা দিয়ে ছবি তোলা যায় না।
পরীক্ষা চলার সময় কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রলো গোয়েন্দা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে।
সারাবাংলা/এমএস/একে