বিজ্ঞাপন

১ বছর ১০ দিন সময় পেল বিজিএমইএ

April 2, 2018 | 10:28 am

।।স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না মর্মে মুচলেকা দেওয়ার পর ঢাকার হাতিরঝিলে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবন সরিয়ে নিতে আরও এক বছর ১০ দিন সময় পেল পোশাক মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।

আদালতের নির্দেশে বিজিএমইএ সংশোধিত মুচলেকা জমা দেওয়ার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ সোমবার এ সময় দেন। এর ফলে ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিলের মধ্যে ওই ভবন সরিয়ে ফেলার চূড়ান্ত বাধ্যবাধকতা থাকছে।

সোমবার আদালত বিজিএমইএকে এক বছর সময় দিয়ে আদেশের পর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ভবনটি আপনারা ভাঙ্লে আপনাদের জন্যই সুবিধা। আপনাদের মালামাল রক্ষা পাবে। আর রাজউক ভাঙ্গলে আপনারা সেটি পাবেন না।’

বিজ্ঞাপন

আদালতে এ সময় বিজিএমই এর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে ওই ভবন ভাঙতে তৃতীয়বারের মতো আপিল বিভাগ সময় আবেদন  করে বিজিএমইএকে আদালত আর সময় চাওয়া হবে না মর্মে মুচলেকা দিতে বলেন।

সে অনু্যায়ী বিজিএমইএ আদালতে মুচলেকা দিলে সেখানে কয়েকটি বিষয়ে অস্পষ্টতা আছে উল্লেখ করে আদালত সোমবার সংশোধন করে আবার মুচলেকা দিতে বলেন।
এরপর বিজিএমইএ আদালতে সংশোধিত মুচলেকা দিলে তা দেখে আদালত অাজ এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

 

বিজিএমইএ’র মুচলেকার কপি

 আদেশের পরে বিজিএমইএ’র আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৩ সালে বিজিএমইএকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল ভবন ভাঙার জন্য। ওই আদেশটি বাস্তবায়ন করার জন্য এক বছর সময় চেয়েছিলাম। ১২ এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত। এই আবেদনটি গ্রহণ করার জন্য মাননীয় আদালত অঙ্গীকারনামা দিতে বলেছিল। আজকে আমরা সংশোধন করে অঙ্গীকারানামা দিয়েছি। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে আমাদের এক বছর সময় দিয়েছেন। আমরা আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

বিজ্ঞাপন

অঙ্গীকারনামায় আপনারা কী বলেছেন, জানতে চাইলে বিজিএমইএ’র আইনজীবী বলেন, ‘অঙ্গীকারনামায় আমরা বলেছি, এরপর আর সময় চাইব না। দ্বিতীয়ত বলেছি, আদেশ যেটা দেওয়া হয়েছে সেটা অবশ্যই মানব। তৃতীয়ত বলেছি, এই আন্ডারটেকিংটি আগে বিজিএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল। আদালত এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর সংশোধনটি বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।’

পরে এ মামলায় হাইকোর্টে অ্যামিকাস কিউরি আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘বিজিএমইএ যে আন্ডারটেকিং দেওয়ার কথা ছিল, সে আন্ডারটেকিং তারা দিয়েছে। সেই আন্ডারটেকিংয়ে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আর তারা সময় চাইবে না। আর আদালতের যে আদেশ আছে, আপিল বিভাগের সেই আদেশটি তারা বাস্তবায়ন করবে। শেল অ্যাবাইড (মানতে বাধ্য) বলেছে। যদি এর কোনো ব্যত্যয় হয় বিজিএমইএ উইল বি লায়বল। আর্থাৎ তারা লায়বেলিটি নিচ্ছে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য।’

রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই বহুতল বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর ইংরেজি দৈনিক ‘নিউ এজ’ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

ওইদিনই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনিরউদ্দিন প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন। পরদিন হাইকোর্ট বিজিএমইএ ভবন কেন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলার রায় দেন। ওই রায়ে বিজিএমইএ ভবনকে হাইকোর্ট ‘একটি ক্যানসার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।

সারাবাংলা/এজেডকে/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন