বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু কোনো একটি দলের নয়, জাতির সম্পদ: জিএম কাদের

August 15, 2021 | 8:36 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোনো একটি দলের নয়, তিনি বাঙালি জাতির সম্পদ। বঙ্গবন্ধুকে দলীয় সম্পদ করতে চেয়ে আওয়ামী লীগ তাকে ছোট করছে। তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। কারণ, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি জাতির সকল ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। একই সময়ে দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিলেন তিনি। ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতৃত্ব বিরল। তাই, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে জাতির কোনো দ্বিমত নেই।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৫ আগস্ট) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক অলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনকের স্বীকৃতি দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কিছু বাধার কারণে তা করা যায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন। বঙ্গবন্ধুও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে খুব স্নেহ করতেন। ১৯৭৫ সালের পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আগ পর্যন্ত পাঁচ জন রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। কিন্ত মুহম্মদ এরশাদই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করেছিলেন।’

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘জীবনের একটি বিশাল অংশ কারাবরণ করেছেন বঙ্গবন্ধু, ফাঁসির মুখেও গিয়েছেন একাধিকবার। কিন্তু দেশ ও মানুষের অধিকারের প্রশ্নে কখনোই আপস করেননি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির এক অবিসংবাদিত নেতা। স্বাধীনতার পূর্বে তিনি রাষ্ট্রের কোনো পদে ছিলেন না। কিন্তু তিনি ছিলেন গণমানুষের হৃদয়ের নেতা। তাই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ সরকারি কর্মচারীরাও পালন করতেন। কোনো দল নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছে। সত্তরের নির্বাচনে অনেকেই প্রার্থীর নাম জানতেন না, তারা শেখ মুজিবের নৌকায় ভোট দিয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

শোক দিবসের আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যায় রাজনৈতিক নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়টি উদ্ঘাটন করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। ইতিহাস বিকৃত করা যায় না, ইতিহাস তার আপন গতিতে চলবে। জেলখানায় হত্যার শিকার চার জাতীয় নেতা ছাড়া আর সবাই খুনিদের সঙ্গে ছিলেন। বাকশালের নেতারাই খন্দকার মোশতাক আহমেদ’র সরকারে ছিলেন। তারাই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সংসদে পাস করেন। ৭৫ সালে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেননি। খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভার সদস্যরা পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি হয়েছেন। এর চেয়ে লজ্জার বিষয় আর হতে পারে না।’

শোক দিবসের অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, আব্দুস সাত্তার মিয়া। উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাজমা আক্তার এমপি, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক, উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, গোলাম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট লাকী আক্তার, হেনা খান পন্নি, আমানত হোসেন আমানত, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আল মাহমুদ, আহসান আদেলুর রহমান এমপি, ইয়াহ ইয়া চৌধুরী, এইচ.এম. শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, ইকবাল হোসেন তাপস, মো. বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, এনাম জয়নাল আবেদীন, মোঃ হুমায়ুন খান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া, গোলাম মোস্তফা, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, মিজানুর রহমান মিরু, অ্যাডভোকেট ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, মো. নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, শাহজাহান কবীর, শহীদ হোসেন সেন্টু, হাফেজ ক্বারী ইসারুহুল্লাহ আসিফ, কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুজ্জামান টিটু, মো. ফারুক শেঠ, মো. সাইফুল ইসলাম, মাওলানা খলিলুর রহমান সিদ্দিকী, মিথিলা, মোমেনা আক্তার, ইব্রাহিম খান জুয়েল, মহিবুর রহমান, ক্বারী শাহ আলম ফরাজী, আবুল কালাম আজাদ টুলু, এমদাদুল ইসলাম রনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন