বিজ্ঞাপন

‘তালেবানরা মুক্তিযোদ্ধা, তাদের দ্রুত সমর্থন দেওয়া প্রয়োজন’

August 18, 2021 | 4:38 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আফগানিস্তানে মার্কিনপন্থী সরকারকে হটিয়ে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া তালেবানদের মুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দিয়ে তাদের দ্রুত সমর্থন ও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে জনসচেতনা সৃষ্টি ও মাস্ক বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে যেকোনো মুক্তির আন্দোলনকে সমর্থন দিতেন। এটা মনে রাখতে হবে যে তালেবানরাও মুক্তিযোদ্ধা। তারা বিদেশি শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছে। তারা যাতে কট্টরপন্থা অবলম্বন না করে এবং ইসলামের নামে ধর্মান্ধ আচরণ না করে সেজন্য দ্রুত তাদের সমর্থন ও সাহায্য করা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘সবাইকে মাস্ক পরতে। মাস্ক আমাকে রক্ষা করে অন্যকেও রক্ষা করে। কাপড়ের মাস্ক হওয়া বাঞ্ছনীয়। নইলে পরিবেশ নষ্ট হবে।’

বিজ্ঞাপন

সরকার প্রধানের উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘রাশিয়ার ভ্যাকসিনের দাম সবচেয়ে কম হওয়ার পরও কেন কিনছে না, তার জবাবদিহিতা নেই। সরকার একের পর এক ভুল করে চলছে। গণতান্ত্রিক সরকার না হলে যা হয়।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আর ধানাইপানাই কইরেন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে দেশের সর্বনাশ ডেকে আনবেন না।’

স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনজীবন সচল রাখার আহ্বান জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। এ সময় সরকারের কাছে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

দফাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রুততম সময়ে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে দেশের ১৩ কোটি মানুষকে দেওয়ার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। ভ্যাকসিন ক্রয়ে দামের স্বচ্ছতা থাকতে হবে। অবিলম্বে দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে হবে। সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা সুরক্ষা ও প্রয়োজনে স্বাস্থ্য তহবিল ঘোষণা করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা খুলে দিতে হবে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের মানবেতর জীবন যাপনের অবসান ঘটাতে হবে।’

২. লকডাউন ও নানা কারণে আড়াই কোটি নিম্ন আয়ের পরিবার অর্থাৎ ১০ কোটি মানুষ জীবিকা বিপর্যয়ের মধ্যে আছে, আর্থিক সংকটে আছে। কাজেই আড়াই কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. অনর্থক লকডাউন না দিয়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

বক্তব্য শেষে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে নাগরিক সমাজের নেতারা ফার্মগেট হতে তেজগাঁও রেলগেট রাস্তায় পথচারীদের মাঝে মাস্ক ভিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, নাট্য পরিচালক শেখ রুনা, ছাত্র নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটসহ প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন