August 19, 2021 | 5:51 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ২০২৪ সালে বে টার্মিনালের অপারেশন শুরু করার কথা জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জানান, ‘বে টার্মিনালে’র তিনটির মধ্যে একটি করবে চট্টগাম বন্দর, বাকি দু’টি টার্মিনাল নির্মিত হবে বিদেশি বিনিয়োগে।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) চট্টগ্রামের আনন্দবাজার এলাকায় সাগরতীরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ‘বে-টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্প পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের স্বার্থ রক্ষা করে যাদের সঙ্গে সমঝোতা হয় তাদেরকে বাকি দুইটি টার্মিনাল নির্মাণ করতে দেওয়া হবে।’
জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার প্রবৃদ্ধি সামাল দিতে বে-টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেখানে দু’টি কন্টেইনার টার্মিনাল, একটি মাল্টি-পারপাস টার্মিনাল নির্মিত হবে। বে-টার্মিনালকে বৈরি আবহাওয়া এবং সাগরের বড় ঢেউ থেকে রক্ষা করতে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ব্রেক ওয়াটার’ নির্মিত হবে। বে-টার্মিনাল থেকে বহিঃনোঙ্গরের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। বিদ্যমান চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে এর পরিধি প্রায় পাঁচগুণ হবে। ১২ মিটার ড্রাফটের এবং ২৮০ মিটার দৈর্ঘ্যরে জাহাজ ভিড়ানো সম্ভব হবে।
বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ২ হাজার ৫০০ একর জমি প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ৮৭০ একর জমির প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। ব্যাক্তি মালিকানাধীন ৬৬ একর জমির অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি খাস জমি ৮০৩ একর অধিগ্রহণের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেছে। বাকি ১৬২৯ একর জমি বে-এরিয়া হতে রিক্লেইম করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী জাহাজে করে সাগর থেকে বে টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সুলতানা আফরোজ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/এমও