বিজ্ঞাপন

বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই যমুনার পানি, চরাঞ্চলে ভাঙন

August 22, 2021 | 10:26 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সিরাজগঞ্জ: জেলা সদর ও কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। একইসঙ্গে জেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া অভ্যন্তরীণ সকল নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। ফলে একের পর এক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়াও চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২২ আগস্ট) সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ ও কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টের ওমর ফারুক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ৬ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

টানা কয়েক দিন যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকা। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার মানুষ। এছাড়াও পানিতে গো-চারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার খামারিরা।

পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, ও চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর অভ্যন্তরীণ নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বহু ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। একইসঙ্গে যমুনা নদীর ভাঙনে জেলার কাজীপুর ও চৌহালীতে প্রায় ৫০টি বসত ভিটা ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি, নাটুয়ারপাড়া, চরগিরিশ, মনসুরনগর, নিশ্চিন্তপুর ও তেকানী ইউনিয়নে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। এসব এলাকার ১২টি গ্রামে ধীরে ধীরে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।

নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, এই ইউনিয়নের ডিক্রিদোরতা গ্রাম ও জিআরডিপি নৌকাঘাট পয়েন্টে ব্যাপক আকারে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিলীন হচ্ছে আবাদী জমি ও নতুন স্থাপন করা বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পূর্ভাবাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে যমুনা নদীর পানি আরও দু-একদিন বাড়তে পারে। এ সময়ের মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রমও করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন