বিজ্ঞাপন

আগস্ট মাসেই কেন সব ষড়যন্ত্র?

August 24, 2021 | 6:00 pm

জুয়েল সরকার

শেষ হয়ে এলো বাঙালি জাতির শোকের মাস। আগস্ট যেমন শোকের মাস তেমনি ষড়যন্ত্রেরও। সেই ষড়যন্ত্রের রেশ আমরা দেখতে পাই এখনও। স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র যেন হয় এই আগস্টেই।

বিজ্ঞাপন

বাঙালির জীবনের শোকের মাসটি অতীতকে সামনে নিয়ে আসে। প্রশ্ন জিজ্ঞাসিত হয়। কেন এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ? কেন, কার স্বার্থে, কারা এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞে সংশ্লিষ্ট, তারও হদিস মেলে। কিন্তু পূর্ণচিত্র মেলে না। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। খুনিরা শাস্তি পেয়েছে। তবে হত্যার নেপথ্যে যে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্র ছিল, সে বিষয়গুলো চাপা পড়ে আছে। সেসব সত্য উদ্ঘাটিত হবেই। কারণ, এই নির্মম পাপ চাপা থাকে না। খুনীদের মুখোশ উন্মোচিত হবেই।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল জাতি। শোকে পাথরপ্রায়। সেদিন দেশব্যাপী মানুষকে অজানা আশঙ্কায় গ্রাস করেছিল। পুরো জাতি যখন নতুন সমাজ ব্যবস্থা ও নতুন সরকার পদ্ধতি প্রচলনের পথে ব্যস্ত, ঠিক তখনই আঘাত হানা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডে বাংলাদেশে এক গভীর সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল। যার রেশ এখনো বহমান। ঘাতকরা এখনো উদ্যত। তারা মুছে দিতে চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু এবং তার সৃষ্ট বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে। স্বাধীনতার মাত্র চার বছরের মাথায় নানা চক্রান্ত, সন্ত্রাস ও পারস্পরিক হানাহানির মধ্যে জাতির স্থপতির হত্যাকান্ডে সমগ্র রাষ্ট্রীয় কাঠামো অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রটিকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। যে ধারার করাল গ্রাস থেকে জাতি এখনো পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি।

দেশি বিদেশি অপশক্তির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশ হয়েছেন তাঁর চারপাশের কিছু মানুষও। বৈরি শক্তির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে অবিরাম ষড়যন্ত্র করে গেছেন স্বাধীনতার শত্রুরাও। প্রথমেই ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে পাকিস্তানি কায়দায় ক্ষমতা দখলের পায়তারা শুরু করে হত্যাকারীরা।উঠে পড়ে লেগে যায় দেশ বিদেশে বঙ্গবন্ধু সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করতে। কিন্তু কোনভাবেই বঙ্গবন্ধুর হিমালয় সমান জনপ্রিয়তায় ফাটল ধরাতে পারেননি। ফলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মিশনে নামে তারা।

বিজ্ঞাপন

যারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করার ছুতোয় আগস্টের শুরু থেকেই খুনিদের সহযোগী হিসেবে রেকিও করেছেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বর। কেমন ছিল বঙ্গবন্ধুর শেষ দিনগুলো? পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিস ইউজিন বোস্টার। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকান্ডের আগে হত্যাকারীরা বোস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। সকাল সাড়ে দশটায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন শিল্পমন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামান। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানায় উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য তাকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন বঙ্গবন্ধু।

সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিলেটের তিন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াস, কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী ও গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী।এই তিনজনের কেউ মোশতাককে সমর্থন করেননি। এজন্য মানিক চৌধুরীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। সন্ধ্যা ৬ টায় সেসময় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামসুর রহমান বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। ২০ আগস্ট তিনি মোশতাক সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।

সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের প্রেতাত্মার বিচরণ থামেনি এখনও। আছে আগের মতোই ঘরের শত্রু বিভীষণরাও। নির্মম পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঘিরে একের পর এক গজিয়ে ওঠে ষড়যন্ত্রের ডালপালা এবং সেটাও এই শোকের মাস ঘিরে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিল, যার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল এ দেশীয় একটি গোষ্ঠী। এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারীদের বিচার হয়েছে এবং একাংশের শাস্তি কার্যকরও হয়েছে। কিন্তু ৪৫ বছর পরও পঁচাত্তরের ষড়যন্ত্রকারী এবং ওই হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগীরা একই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।

বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে রক্ষা পেলেও কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন, আহত হয়েছিলেন শত শত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী একযোগে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

২০১৮ সালে ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ঢাকার মিরপুরে পুলিশের ওপর হামলা এবং পরদিন ঝিগাতলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় আক্রমণের চেষ্টা প্রতিহত করতে গিয়ে আহত হন আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জামায়াত একের পর এক গুজব ছড়িয়ে সারা দেশ থেকে শিবির ক্যাডারদের ঢাকায় এনেছিল এই শোকের মাসেই। মানুষকে বিভ্রান্ত করে শিশু-কিশোরদের আন্দোলনকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন দেখেছিল জামায়াত-বিএনপি। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টায় এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।

জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের জড়িত থাকার কথা এখন প্রকাশ্য হয়েছে। এরপর ক্ষমতায় আসা সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের হাত ধরে যে রাজনৈতিক শক্তির পুনরুত্থান ঘটেছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে কখনোই মেনে নিতে পারেনি। তাই ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ২১ বছর রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও দর্শনবিরোধী ভাবধারায়।

বিজ্ঞাপন

আর এ সময়েই পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে সফলকাম হয়েছে। সমসাময়িক প্রজন্মের বৃহৎ একটি অংশের মগজ ধোলাই করে ‘আমার সোনার বাংলা’র পরিবর্তে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে- ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’। পুরো সময়জুড়ে ছিল স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির পুনঃপ্রবর্তন, উগ্রমৌলবাদী ও জঙ্গিবাদের উত্থান এবং বিস্তারের ইতিহাস। তারা দেশ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতরে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। ফলে ক্ষমতার বাইরে থেকেও লক্ষ্য অর্জনে লড়াইটা অব্যাহত রাখতে পারছে।

করোনাকালে মাঠে নামার পরিবর্তে ফেসবুক, ইউটিউব আর আইপি টিভির মাধ্যমে অপপ্রচারে তৎপর স্বাধীনতাবিরোধীরা। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে মিথ্যা রটনা, গার্মেন্টস ঘিরে অসন্তোষ সৃষ্টিসহ নানানভাবে তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

সবশেষ চলতি বছরের আগস্টেও ষড়যন্ত্র হয়েছে। এবারের ঘটনার স্থান বরিশাল। কাল ওই আগস্টেরই ১৮ তারিখ। আর পাত্র বঙ্গবন্ধু পরিবারের এক সদস্য বরিশালের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। যার দাদী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বোন, আর দাদা প্রাক্তন আওয়ামী লীগ নেতা ও পানিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, যাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবের সাথে হত্যা করেছিল ঘাতকরা। সেদিন সাদিক আবদুল্লাহ হারিয়েছিলেন তার দাদী, চাচা এবং জ্যেষ্ঠ সহোদরকেও।

টক অব দ্য কান্ট্রি হয়ে যাওয়া বরিশালের আলোচিত ঘটনাটিও ষড়যন্ত্রের আগের গল্পগুলোর মতোই। ১৮ আগস্ট রাতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকার নানান ধরনের ব্যানার-বিলবোর্ড অপসারণের অংশ হিসেবে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে পরিচ্ছন্নের কাজ শুরু করে। এ কাজ করতে গিয়ে তারা বাধাগ্রস্ত হয়। ইউএনও কর্তব্যরত আনসারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। আদিষ্ট হয়ে আনসার সদস্যরা মারমুখী হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের রক্ষায় সরকারি দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী এগিয়ে আসেন। এ অবস্থায় কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা আরও মারমুখী হয়ে ওঠে। ইউএনওর নির্দেশে গুলি চালানো হয়। ফলে পরিস্থিতি অধিকতর ঘোলাটে হয়ে যায়। অঘটনের খবর পেয়ে বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছেন। তিনি নিজের পরিচয় দেন, সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান। এক সূত্র বলছেন, সেদিন আসলে গোলাগুলি ঘটানোর জন্য ফাঁদ পাতা হয়েছিল। কিন্তু মেয়র সাদিক কিনারে গেলেও সে ফাঁদে পা দেননি।

বরিশাল সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে ১৮ আগস্টের নাটকীয় ঘটনা খুবই পরিকল্পিভাবে ঘটানো হয়েছে। কাগজে-কলমে যা-ই বলা হোক, জনগণের প্রতি আমলাদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু রয়েই গেছে। অতীতে অনেক উদাহরণ আছে, আমলারা জনগণ তো দূরের কথা, সরকারের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা, বিশ্বস্ততা ভঙ্গ করার একাধিক উদাহরণ আছে। অন্যদিকে জনপ্রতিনিধিদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতেই হয়। পানি ছাড়া মাছ যেমন তেমনই জনগণ ছাড়া জনপ্রতিনিধি অকল্পনীয়। মেয়র সাদিকের বিষয়টি সেভাবেই দেখতে হবে। বলা বাহুল্য, চূড়ান্ত বিচারে রাজনীতিবিদরাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন, আমলারা নন। আর ঘটনাস্থলে আনসার বাহিনীর উসকানির মুখে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ যে ধৈর্য ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন তা রাজনীতিতে এক দৃষ্টান্ত হয়েই থাকবে। তা না হলে সেদিন গোলাগুলির ঘটনা ঘটতে পারত। সৌভাগ্যক্রমে তা হয়নি। এর পরও প্রশ্ন হচ্ছে- সব ষড়যন্ত্র আগস্টেই ঘটে কেন?

সাধারণভাবেই জানা কথা, প্রতিটি ঘটনার পেছনেই পরিকল্পনা থাকে, থাকে বিনিয়োগও। বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে বাসন্তীর জাল পরা ছবি পত্রিকায় ছাপা এবং শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কোরবানির পশুর চামড়া কবরের মতো করে মাটি চাপা দেওয়া- এ ধরনের সব ঘটনার পেছনে উদ্দেশ্য ও বিনিয়োগ থাকে। বোধগম্য কারণেই এ ধারার বাইরে নয় ১৮ আগস্ট রাতে বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনওর বাসভবনের ঘটনাবলি।

কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন—‘শেখ মুজিব, পাকিস্তানি মনোভাবাপন্ন প্রশাসন দিয়ে তুমি বাংলাদেশ তৈরি করতে পারবে না, চালাতেও পারবে না। কাপুরুষেরা বীরদের সাফল্যে সবসময় হীনমন্যতা, ঈর্ষাপরায়ণতা ও পরশ্রীকাতরতায় ভোগে। ফলে বীরোচিত অর্জনের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ থাকে না, বরং সেই অর্জনকে শেষ করতে পারলেই তারা পুলকিত হয়, যুগে যুগে দেশকাল পাত্রভেদে এটাই দেখা গেছে। ’

আগস্ট শোকের মাস। জনক হারানোর শোক, মা হারানোর শোক, ভাই হারানোর শোক, বোন হারানোর শোক, সন্তান হারানোর শোক। শোক থেকে শক্তি। এই শক্তি বুদ্ধির শক্তি এবং এর রূপ বহুমাত্রিক। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ বন্ধ করেছে বর্তমান সরকার। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র-বিরোধীদের যে কোনো অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। অন্যথায় ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ‘রূপকল্প-২০৪১’ ও ‘ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০’ ঘোষণা করেছেন, তা বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

প্রিয় পাঠক, লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই ঠিকানায় -
sarabangla.muktomot@gmail.com

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব, এর সাথে সারাবাংলার সম্পাদকীয় নীতিমালা সম্পর্কিত নয়। সারাবাংলা ডটনেট সকল মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে মুক্তমতে প্রকাশিত লেখার দায় সারাবাংলার নয়।

সারাবাংলা/এসবিডিই

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন