বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবের আমেজে খুললো স্কুল-কলেজ

September 12, 2021 | 9:10 am

সারাবাংলা ডেস্ক

প্রায় দেড় বছর পর খুললো দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিশু-কিশোরদের পদচারণায় আবারও মুখরিত শিক্ষাঙ্গণ। শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের পুনর্মিলনে স্কুল কলেজে চলছে উৎসবের আমেজ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর পথে পথে স্কুল ড্রেস পরিহিত শিক্ষার্থীদের দেখা মেলে। হাসিমুখে দল বেধে স্কুল কলেজের দিকে ছুটছে তারা। অভিভাবকরাও দীর্ঘদিন পর ফিরেছে পুরনো ডিউটিতে।

রাজধানীর বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে সারাবাংলার করেসপন্ডেন্টরা জানান, স্কুল-কলেজের গেটগুলোতে রাখা হয়েছে হাতধোঁয়ার ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে গেটেই দাঁড়িয়ে আছেন কিছু শিক্ষক। সেই সঙ্গে রাখা হয়েছে স্যানিটাইজারসহ করোনা প্রতিরোধের প্রাইমারি সবধরনের ব্যবস্থা।

বিজ্ঞাপন

ক্লাসরুম ঘুরে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্ব মেনে প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসানো হয়েছে। দীর্ঘদিন পর ক্লাসরুমে ফিরতে পেরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে বাড়তি উত্তেজনা। সবার মুখে লেগে আছে মিষ্টি হাসি।

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় এনে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে প্রায় ১৮ মাস কয়েক দফায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়।

এর আগে ২ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ের মন্ত্রী পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ডা.দীপু মনির সভাপতিত্বে আয়োজিত এক বৈঠকে আগামীকাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সভাশেষে জানানো হয়, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে। অন্যদিকে, প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসার নির্দেশনা রয়েছে।

চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রতিদিন শ্রেণিকক্ষে আসবে। এছাড়া পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও রোজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবে। অন্যদিকে, প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ইতোমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন ক্লাস করলে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে জেএসসি, জেডিসি, পিইসি পরীক্ষাসহ বার্ষিক পরীক্ষাও সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নির্দেশনার ক্ষেত্রে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রাখতে শ্রেণি কক্ষে শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা প্রতিদিন তাদের পর্যবেক্ষণ করবেন। এ জন্য একটি সার্ভিলেন্স টিম কাজ করবে। আগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সামাজিক দূরত্ব মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করার নির্দেশনা রয়েছে। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আপাতত কোনো অ্যাসেম্বলি হবে না। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থ্যতার কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের খেলাধুলা বা ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটিজ চলবে।

এদিকে দীর্ঘদিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আসা উপলক্ষে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল ফটকে বেলুন ও কৃত্রিম ফুল দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন