September 15, 2021 | 3:31 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: বাতিল করা হয়েছে বৃটিশ আমলের স্বাস্থ্যবিষয়ক দুটি আইন। ঔপনিবেশিক আমলের করা মেডিকেল ডিগ্রি ও মেডিকেল কলেজসংক্রান্ত দু’টি আইন বাতিল করে সংসদে পৃথক দুটি বিল পাস হয়েছে। বাতিল আইন দুটি হলো- ‘মেডিকেল ডিগ্রিস অ্যাক্ট’ এবং মেডিকেল কলেজ (গভর্নিং বডিস)।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক পৃথকভাবে ১৯১৬ সালে প্রণীত এবং ১৯৬১ সালে প্রণীত আইন দুটি বাতিল করতে সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন করে। পরে বিল দুটি বাতিলের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিল দুটির ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করেন।
গত ২৮ জুন বিল দুটি সংসদে তোলা হয়। পরে বিল দুটি সাতদিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
এছাড়া একই দিনে ‘মেডিকেল ডিগ্রিস (রিপিল) বিল-২০২১’ এবং মেডিকেল কলেজ (গভর্নিং বডিস) (রিপিল) নামে দুটি নতুন বিল সংসদে পাস হয়েছে।
‘মেডিকেল ডিগ্রিস (রিপিল) বিল’ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “মেডিকেল ডিগ্রিস অ্যাক্ট একটি সংক্ষিপ্ত আইন, যার প্রতিটি ধারা ‘বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ এর এক বা একাধিক ধারায় সন্নিবেশিত রয়েছে। এ আইনের লঙ্ঘন এবং সংঘটিত অপরাধের শাস্তি অপর্যাপ্ত, যা সময়োপযোগী নয়। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন একটি বিশদ বিস্তৃত আইন। যার প্রয়োগিক দিক থেকে অনেক বিস্তৃত এবং সময়োপযোগী। কাজেই এ আইনটির কার্যকারিতা ও প্রায়োগিক ক্ষেত্রগুলো ‘বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন’র সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সেজন্য আইনটি প্রত্যাহার করা জরুরি।’
মেডিকেল কলেজ (গভর্নিং বডিস) (রিপিল) বিল-২০২১’ সম্পর্কে জাহিদ মালেক বলেন, “১৯৬১ সালে মেডিকেল কলেজ (গভর্নিং বডিস) অর্ডিন্যান্স’ প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু এই অধ্যাদেশটির তেমন কোনো প্রয়োগ ছিল না। ১৯৮৩ সালে
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেশে মেডিকেল কলেজগুলো সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য একাডেমিক কাউন্সিল ফর মেডিকেল কলেজ অব বাংলাদেশ এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটি ফর দ্য মেডিকেল কলেজ অব বাংলাদেশ গঠন করা হয়। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত একাডেমিক কাউন্সিল ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির মাধ্যমেই সরকারি মেডিকেল কলেজ পরিচালিত হয়ে আসছে।’
তিনি জানান, এছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো সংশ্লিষ্ট এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘বেসরকারি মেডিকেল স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১১ (সংশোধিত)’ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। সুতরাং ১৯৬১ সালের মেডিকেল কলেজেস (গভর্নিং বডিস) অর্ডিন্যান্স’র কার্যকারিতা নেই।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম