September 15, 2021 | 4:56 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, যমুনা নদীকে সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা গেলে সেখানকার লাখ লাখ হেক্টর জমি সংগ্রহের পাশাপাশি একটি স্যাটেলাইট সিটি গড়ে তোলা হবে।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন আয়োজিত বিএসআরএফ’র সংলাপে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, যমুনা নদীকে সঠিক ব্যবস্থাপনয় আনতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একটি পরামর্শ চলছে, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে যমুনা অর্থনৈতিক করিডোর। এটার সমীক্ষার কার্যক্রম শুরু হবে। সমীক্ষায় সফলতা আসে, কাজটি যদি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে এখানে লাখ লাখ হেক্টর জমি শুধু সংগ্রহ করতেই পারব না, যমুনার ভাঙনের একটি সমাধান দিতে পারব। যে জমি সংগ্রহণ করা হবে সেখানে স্যাটলাইট সিটি গড়ে তোলা হবে। অর্থনৈতিক করিডোর-১ ও অর্থনৈতিক করিডোর-২ এই দুটি ফেজে কাজটি হবে। এটি দীর্ঘমেয়াদী কাজ। বন্যা ও নদীভাঙন থেকে মানুষ যে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা থেকে রক্ষা হবে। তিস্তা নদী নিয়েও একটি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সেগুলো নিয়েও কার্যক্রম চলছে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে নৌ পরিবহন খাত অপরিসীম উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌ বন্দরগুলোকে অনেক সক্ষম করে তোলা হয়েছে। ফলে করোনা মহামারি চলাকালে অর্থনৈতিক ধারা অব্যাহত রাখতে নৌ পরিবহন খাত ভূমিকা রাখতে পেরেছে। এছাড়া ২০২৪ সালের মধ্যে বে-টার্মিনাল করা হবে। এটি করা গেলে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ নোঙর-বহিঃনোঙর করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একসময় দেশে একটা মাত্র মেরিন একাডেমি ছিল। বর্তমান সরকার চারটা মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছে। শিপিং করপোরেশনের ছিল মাত্র ২টা জাহাজ। এখন ছয়টি সংগ্রহ করা হয়েছে। বাল্ক জাহাজ পেতে যাচ্ছি, কন্টেইনার ভেসেলের জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে, তাও পেয়ে যাবো।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত নৌপথটি নৌ চলাচলের উপযোগী করতে ৩ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ঢাকার শ্মশানঘাট, চাঁদপুর, বরিশালের নৌ ঘাট সংস্কার করা হবে। ঢাকা- কোলকাতা নৌ চলাচলে জেটি তৈরি করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ