বিজ্ঞাপন

‘অনেক দেশেই সংক্রমণ কমে আবার বেড়ে যাওয়ার নজির রয়েছে’

September 17, 2021 | 4:09 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের অনেক দেশেই নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিম্মমুখী। তবে এতে খুব বেশি আশান্বিত হওয়ার কিছু নেই। অনেক দেশেই সংক্রমণ কমে আবার বেড়ে যাওয়ার নজির রয়েছে। তাই করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। সবচেয়ে বেশি দরকার ব্যাপক হারে ভ্যাকসিন দেওয়া।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সংলাপে এসব কথা বলেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) বিজ্ঞানি ড. ফেরদৌসী কাদরী। এই সংলাপের আয়োজন করে ‘র‍্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন’।

ভার্চুয়াল সংলাপে ড. কাদরী বলেন, ‘দেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষের দেহে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে বলে সংক্রমণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে করোনার নতুন কোনো ধরনে সংক্রমণ আবার বেড়ে যেতে পারে। এ কারণে আত্মরক্ষার জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ডেল্টার তাণ্ডব কমে সংক্রমণের হার এখন নিম্নমুখী। তবে ডেল্টার মতো মারাত্মক ভ্যারিয়েন্টের পুনরায় সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এর মতো অতিসংক্রামক ভাইরাস যে আর আসবে না, সেটা নিশ্চিত বলা যায় না।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে সম্প্রতি সংক্রমণ কিছুটা কম। এটা নিয়ে এখনই উপসংহারে আসার মতো কিছু বলা যাবে না। বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। মানুষের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা বেড়েছে। পাশাপাশি ভ্যাকসিনের চলমান উদ্যোগ আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সামাজিক দূরত্ব, হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে।’

ভার্চুয়ালি আয়োজিত এই সংলাপে বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের সাংবাদিকরা এতে অংশ নেন। তাদের মধ্যে জাপানের এনএইচকে গণমাধ্যমের আইকো ডোডেন জানতে চান, বিশ্বে ভ্যাকসিন নিয়ে যে এক অসম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা অর্থনৈতিক নাকি রাজনৈতিক, নাকি ধনী রাষ্ট্রের একচ্ছত্র আধিপত্যের নমুনা—এমন প্রশ্নের জবাবে ফেরদৌসী কাদরী বলেন, ‘হয়তো এসব কারণ আছে। কিন্তু বিপরীতে মানবিকতারও অনেক উদাহরণ আছে। যেমন, আমরা কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে টিকা পাচ্ছি। এটা অনন্য উদ্যোগ।’

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংক্রান্ত গবেষণার কাজে পশ্চিমা অনেক দেশ থেকে সহযোগিতা পেয়েছি। তাই পুরো বিশ্ব বন্ধুহীন হয়ে গেছে, এমনটা ভাবা চলবে না।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, কলেরা এবং টাইফয়েডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ড. ফেরদৌসী কাদরী। সেই ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ৩১ আগস্ট এশিয়ার নোবেল খ্যাত র‌্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারের জন্য ড. ফেরদৌসী কাদরীর নাম ঘোষণা করা হয়।

সারাবাংলা/এসবি/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন