বিজ্ঞাপন

২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ দুটোই বেড়েছে

September 24, 2021 | 5:50 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই বেড়েছে। এ সময় দেশে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে যা আগের দিন ছিল ২৪ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৩৩ জন যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ১১৪ জন।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় গড় শনাক্তের হার কমেছে। বৃহস্পতিবার গড় শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। শুক্রবার এই শনাক্তের হার কিছুটা কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে পরীক্ষাগার ছিল ৮১৫টি। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৪৫টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫৬টি ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাব ৬১৪টি।

বিজ্ঞাপন

এ সব ল্যাবে পরীক্ষার জন্য সারাদেশের বিভিন্ন বুথ থেকে ২৭ হাজার ৫৫৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ হাজার ১৪১টি নমুনা। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫ লাখ ৭৯ হাজার ১১১টিতে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭০ লাখ ৬৫ হাজার ৫০৯টি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৫ লাখ ১৩ হাজার ৬০২টি।

২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৩৩ জন। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে তবে কমেছে গড় শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। একই সময়ে মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। শনাক্তের বিপরীতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪০ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে মৃত্যুও: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৩১ জন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ২৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেলেন মোট ২৭ হাজার ৩৬৮ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

পুরুষ ও নারীর মৃত্যুর পরিসংখ্যান: গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩১ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ১৮ জন, নারী ১৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৫৮৪ জন, নারী ৯ হাজার ৭৮৪ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ রোগী মৃত্যুর হার ৬৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, নারী রোগী মৃত্যুর হার ৩৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান: বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে— গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩১ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছর। এ ছাড়া ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী মারা গেছেন দুইজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী মারা গেছেন একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী মারা গেছেন চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী মারা গেছেন ছয়জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী মারা গেছেন পাঁচজন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী তিনজন, ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী একজন রয়েছেন।

এখন পর্যন্ত মোট হিসাব বলছে, দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে— ৮ হাজার ৫০২ জন, যা মোট মৃত্যুর ৩১ দশমিক ০৭ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৪৬৪ জনের (২৩ দশমিক ৬২ শতাংশ) বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর ও তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৭৬১ জনের (১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ) বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছর। অন্যদিকে করোনায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম ০ থেকে ১০ বছর বয়সী (শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ) যা সংখ্যায় ৭৪ জন। ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী মোট মারা গেছে ১৭৫ জন। যার শতকরা হার শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ।

বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর তথ্য: বিভাগওয়ারী মৃতদের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬ জন মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ জন মারা গেছেন চট্টগ্রাম বিভাগে। এছাড়া রাজশাহী ও রংপুরে দুইজন করে, খুলনা সিলেট ময়মনসিংহে একজন করে মারা গেছেন।

বিজ্ঞাপন

এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুও ঢাকা বিভাগে— ১১ হাজার ৯২৬ জন, যা করোনায় মোট মৃত্যুর ৪৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অন্যদিকে করোনায় সবচেয়ে কম মারা গেছে ময়মনসিংহ বিভাগে মোট ৮২৬ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২৬ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন পাঁচজন।

কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন: গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩২৬ জন, কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ৭৫৬ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৪৪ হাজার ৭১৫ জন, ছাড়া পেয়েছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২৬৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬৬ হাজার ৪৪৬ জন।

এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৩১৭ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৬০৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭৯ হাজার ১৮৭ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪৩ হাজার ১৩৪ জন।

স্ক্রিনিং সংক্রান্ত তথ্য: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং হয়েছে মোট ৫ হাজার ৭০৮ জনের। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং হয়েছে ৪ হাজার ৭৩৫ জনের, স্থলবন্দরসমূহে স্ক্রিনিং হয়েছে ৮৫০ জনের, সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং হয়েছে ১২৩ জনের। এ পর্যন্ত বিমানবন্দরে মোট স্ক্রিনিং হয়েছে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৪৯ জনের, স্থলবন্দরে স্ক্রিনিং হয়েছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১০৩ জনের।

সারাবাংলা/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন