প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি: ১১ আসামিকে অব্যাহতি

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির ঘটনায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১১ আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন অাদালত। তবে অব্যাহতি পাওয়া আসামিদের মধ্যে তিনজনের দায়িত্ব অবহেলার কারণে প্রসিকিউশন দণ্ডবিধি ২৮৭ ধারায় রাষ্ট্রপক্ষকে মামলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদশর্ক মাহবুব অালমের দাখিল করা ফাইনাল রিপোর্টটি গ্রহণ করে ১১ অাসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অাদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল। দায়িত্ব অবহেলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, সিদ্দিকুর রহমান, নাজমুল হক ও শাহ আলম।

অব্যাহতি পাওয়া আসামিরা হলেন,  প্রকৌশল কর্মকর্তা এসএম রোকনুজ্জামান, সামীউল হক, লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুয়ারেন্স) এসএম সিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন ও মেকানিক শাহ আলম, নাজমুল হক ও আসামি সিদ্দিকুর রহমান।

গত ৬ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মাহবুব আলম একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই ঘটনায় প্রতিবেদনে তিনি বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারা ও দণ্ডবিধির ১১৮ ও ১২০(খ) ধারা থেকে সব আসামিকে অব্যাহতি দিতে আবেদন জানান। তবে জড়িত তিন আসামি সিদ্দিকুল রহমান, নাজমুল হক ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দাখিলের আবেদন করেন।

২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ‘রাঙা প্রভাতে’ যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। তখন তা তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে।

সেখানে ত্রুটি সারিয়ে চার ঘণ্টা পর বুদাপেস্টের উদ্দেশে রওয়ানা হয় প্লেনটি। ওই প্লেনের ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাংকের একটি নাট ঢিলা হওয়ার পেছনে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কি না, তা তদন্তে গত ২৮ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

এই ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আরও দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এসব কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত ২১ ডিসেম্বর ১১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এর পরে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে।

সারাবাংলা/এআই/এমআইএস/এটি