বিজ্ঞাপন

মানুষের হতাশা চরম পর্যায়ে: মির্জা ফখরুল

September 28, 2021 | 9:10 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: একজন রাইড শেয়ার চালকের বাইক পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘লুটেরা অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মানুষের হতাশা চরম পর্য়ায়ে পৌঁছেছে।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি ও বিষয়ভিত্তিক কমিটির এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন,‘এরা (সরকার) অর্থনীতিকে ধবংস করেছে, পুরোপুরিভাবে লুটেরা অর্থনীতি তৈরি করেছে। পুরোপুরিভাবে লুটেরা সমাজ তৈরি করছে। কী অবস্থা দেখেন। করোনার কারণে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা এতো খারাপ হয়েছে যে, যুবক তার মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। কেনো পুড়িয়েছে?’

‘সে বলছে যে, আমি একটা সিরামিক্সের দোকান করতাম। সেটা করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি আমার সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একটা মোটর সাইকেল কিনে রাইড শেয়ারিং কাজ করার চেষ্টা করছি। সেখানে আমাকে প্রতি পদে পদে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। আপনার অমুক সার্টিফিকেট লাগবে, তমুক সার্টিফিকেট লাগবে। তার চাইতে পুড়িয়ে ফেলি’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এটা কখন হয়? মানুষের হতাশা যখন চরম পর্যায় গিয়ে পৌঁছে, তখন হয়। আজকে সেই অবস্থায় গিয়ে আমরা পৌঁছেছি। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদেরকে সংগ্রাম করতে হবে, লড়াই করতে হবে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে এই লড়াইয়ে সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।’

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের যে স্বপ্ন ছিলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সেটাকে তারা (সরকার) ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন বহুদলীয় গণতন্ত্র নেই, একটা মুখোশ আছে, একটা আবরণ আছে গণতন্ত্রের। সেই আবরণের মধ্যে পুরোপুরি একদলীয় ব্যবস্থা চলছে। এখানে ভয়ভীতির সংস্কৃতি এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে, মানুষ কথা বলতে ভয় পায়, সাংবাদিকরা লিখতে ভয় পায়।’

জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তীর বছরব্যাপী কর্মসূচি পুনরায় শুরুর ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

বিজ্ঞাপন

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আামান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, ফরহাদ হালিম ডোনার, বিজন কান্তি সরকার, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, আবদুল হাই শিকদার, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল জয়নাল আবেদীন, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, আশরাফউদ্দিন উজ্জ্বল, আমিনুল হক, জহিরউদ্দিন স্বপন, মনীষ দেওয়ান, মার্শেল এম চিরমা, অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের এবিএম আবদুর সাত্তার, রিয়াজউদ্দিন নসু ও প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

সারাবাংলা/এজেড/একেএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন