বিজ্ঞাপন

কর্ণফুলী থানা থেকে অব্যাহতি, গ্রেফতার করল পিবিআই

October 1, 2021 | 7:07 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: কর্ণফুলী উপজেলায় এক যুবককে নৃশংসভাবে খুনের পর দেড় বছর ধরে নিজেকে আড়ালে রাখা এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে কর্ণফুলী থানা পুলিশ পাঁচ জনের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু অভিযোগপত্রে ঘটনায় আট জন জড়িত থাকার তথ্য দিয়ে বাকি তিনজনের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়। আদালত সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে পিবিআইকে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে নেমে মাত্র ২৬ দিনের মাথায় পিবিআই আত্মগোপনে থাকা ওই আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

পিবিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে আব্দুর রহমান লাল (২৪) নামে ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের ঘটনার আগে লাল চট্টগ্রাম শহরে সিএনজি অটোরিকশা চালাতেন। খুনের পর নিজেকে রক্ষায় কর্ণফুলী উপজেলায় রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধির আশ্রয়ে চলে যান। তার আশ্রয়ে থেকে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ নিয়ে নিজেকে আড়াল করেন। তবে পিবিআই তদন্তে নেমে তাকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করে।

২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি রাতে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা সিডিএর টেক এলাকা থেকে মো. রায়হানুল ইসলাম চৌধুরী সজীব (২৭) নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন ছিল। রায়হান চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার খরনা গ্রামের আতাউর রহমান চৌধুরীর ছেলে। এ ঘটনায় ১৮ জানুয়ারি কর্ণফুলী থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে সজীবের পরিবার। গ্রেফতার করা হয় খুনের সঙ্গে জড়িত এক নারীসহ দু’জনকে। এরা হলেন- সুমি আক্তার শারমিন (২৭) ও বাদশা মিয়া (৩১)।

বিজ্ঞাপন

সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, আবুধাবি ফেরত ওই যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা নিয়ে যায় সুমি। সাতজন মিলে রাতের আঁধারে নির্জন স্থানে তাকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করে। এসময় ওই যুবক চিৎকার করলে তার গলায় থাকা মাফলার দুই দিক ধরে টান দেয়। এতে শ্বাসরোধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ যেখানে পড়েছিল, তার অদূরে পড়ে থাকা একটি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ক্লুলেস এই মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে।

পিবিআই, চট্টগ্রাম মহানগরের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহেদুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, মামলার প্রধান আসামি সেলিমের স্ত্রী সুমি। মূলত সংঘবদ্ধভাবে পরিকল্পনা করে সুমির মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদ পেতে সজীবকে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর টাকা আদায়ের চেষ্টা হয়। একপর্যায়ে তাকে খুন করে। এ ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার সুমি ও বাদশা জবানবন্দিতে আট জনের নাম উল্লেখ করেছিল। কিন্তু থানা পুলিশ তিন জনের নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে বাকি পাঁচজনের নামে অভিযোগপত্র দেয়। নাম-ঠিকানা না পাওয়া তিনজনের মধ্যে একজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। বাকি দু’জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন