বিজ্ঞাপন

তিমির বমি পেয়ে কোটিপতি জেলে

October 11, 2021 | 3:28 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মানুষের জীবনে কত অদ্ভুত ঘটনাই না ঘটে। ঠিক যেমনটা ঘটেছে থাইল্যান্ডের জেলে নারং ফেটচারাজের ক্ষেত্রে। একদিনেই কোটিপতি বনে গেছেন তিনি। আর এজন্য দায়ী তিমি মাছের বমি, যাকে বলা হয় ‘সমুদ্রের স্বর্ণ’। তিনি ১০ কেজি তিমির বমির দলা পেয়েছেন, যার মূল্য প্রায় ১ মিলিয়ন বা ১১ কোটি ডলার। ডেইলি মেইলের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়াটাইমস।

বিজ্ঞাপন

দেশটির সুরত থানি প্রদেশের নিয়োম সৈকতে মাছ ধরে প্রতি মাসে ২১ হাজার টাকার আয় করেন নারং ফেটচারাজ। অন্যান্য দিনের মতো সম্প্রতি এক বিকেল বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। এ সময় সৈকতে অদ্ভুত জিনিসি দেখতে পান তিনি। যা স্রোতের পানিতে ধাক্কা খেয়ে তীরে এসে পড়েছে।

তবে এ সময় তিনি খুব একটা বুঝতে পারেনি যে ওই বস্তুটা কোটি টাকা মূল্যের জিনিস হতে পারে। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখেন বস্তুটি মোমের মতো, যা সম্ভবত তিমির বমি হতে পারে বলে ধারণা করেন তিনি। তাই শক্ত দলাটিকে দেশটির প্রিন্স অব সাংক্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান তিনি। এটিকে অ্যাম্বারগ্রিস হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন ওই বিশেষজ্ঞ।

তিমি মাছের বমি, ছবি: ইন্ডিয়াটাইমস

তিমি মাছের বমি, ছবি: ইন্ডিয়াটাইমস

অ্যাম্বারগ্রিস নামে এই বস্তুটি মাছ হজম করতে পারে না। এটি শুক্রাণু, যা বমি আকারে বের করে দেয় তিমি মাছ। দলা আকৃতির শক্ত এই বস্তুটি সমুদ্র পৃষ্ঠে ভেসে থাকে।

বিজ্ঞাপন

নারং ফেটচারাজ ৩০ কেজি ওজনের বমি পেয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন এটি বিক্রি করে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পাবেন। এর আগে সুরত থানি প্রদেশ প্রতি কেজি তিমির বমি প্রায় ৩৬ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছিল।

এক কেজি তিমি মাছের বমির জন্য আপনাকে এক কোটি টাকা খরচ করতে হবে। মোমের মতো শুক্রাণু জাতীয় পদার্থটি তিমির পরিপাকতন্ত্রে উৎপন্ন হয়। অ্যাম্বারগ্রিসকে সমুদ্রের ধন এবং ভাসমান সোনা বলা হয়ে থাকে। এটি সোনার থেকেও অধিক মূল্যবান। এই সোনা আঠালো জাতীয় জিনিস ও দামি সুগন্ধি তৈরির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন