বিজ্ঞাপন

ইউনিটে উৎসবমুখর সম্মেলন, উত্তরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আ.লীগ

October 11, 2021 | 11:13 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: তৃণমূল আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার করার লক্ষ্যে ইউনিট সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া দলের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসাবে বিবেচিত হবে বলে মনে করেন দলটির নেতারা। দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এই উদ্যোগ তারা এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

নেতারা বলেন, ‘আমাদের দলের শিকড় হলো তৃণমূল। তাই তৃণমূলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি নেতৃত্বাধীন কমিটির উদ্যোগের ফলে ঢাকা মহানগর উত্তরে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠবে। যার সুফল আওয়ামী লীগই ভাগিদার হবে।’

সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মোহাম্মদপুর থানার আওতাধীন ২৯নং ওয়ার্ডের ইউনিট সম্মেলনে নেতারা এমন প্রশংসা করেন। আজ ইউনিট সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ তাদের পূর্বঘোষিত ইউনিট সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু করলো। যা ধারাবাহিকভাবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ইউনিট সম্মেলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় সংগীত ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরবর্তীতে দ্বিতীয় অধিবেশনের সাবজেক্ট কমিটির সভায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রস্তাব ও সমর্থনে সরাসরি কাউন্সিলরদের ভোটে ইউনিট কমিটি গঠন করা হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদপুর থানার অন্তর্গত ২৯নং ওয়ার্ড সভাপতি সলিম উল্লাহ সলুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মিয়াচান। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন পরিচালনা করেন ২৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন।

পরে কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশন ২৯নং ওয়ার্ডের আওতাধীন পাঁচটি ইউনিটে কাউন্সিলর ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করা হয়। এখানে ৪নং ইউনিটে সভাপতি নুরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক রিপন হোসেন; ৫নং ইউনিটে সভাপতি আসলাম মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক আসাব উদ্দিন আশরাফ; ৬নং ইউনিটে সভাপতি গোলাম রাব্বানী বাবুল এবং সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা; ৭নং ইউনিটে সভাপতি আওলাদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম মামুন; ৮নং ইউনিটে সভাপতি মাইনউদ্দিন আহমেদ দুলাল, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন নির্বাচিত হন।

বিজ্ঞাপন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক শক্তি জোরদারে ৬০ দিনের মধ্যে সব স্তরে ইউনিট কমিটি গঠন করবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের সকল ইউনিট কমিটি গঠনের ডেডলাইন দেওয়া হয়েছিল দায়িত্বপ্রাপ্ত টিমগুলোকে। উত্তর আওয়ামী লীগের ৬৪টি ওয়ার্ড ও একটি ইউনিয়নে ইউনিট কমিটি গঠনের জন্য মহানগরের নেতা ও থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে যুক্ত করে ২৬টি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৩৭ জন সদস্য নিয়ে এসব কমিটি গঠন করা হবে। আর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৭৫টি ওয়ার্ডে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের জন্য আসনভিত্তিক ৮টি টিম কাজ করছে।

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘দেশের রাজনীতিতে এক নতুন ইতিহাস সংযোজিত হতে যাচ্ছে। এই ইউনিট সম্মেলন বাংলাদেশের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকটে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে যে ইউনিট সম্মেলনের আয়োজন করেছে তা ঐতিহাসিক। এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

বিশেষ অতিথি হিসাবে মির্জা আজম বলেন, ‘মহানগরের ইতিহাসে এমন ইউনিট সম্মেলন কখনও হয়নি, এটাই প্রথম। এই ইউনিট কমিটি গঠনের মাধ্যমে ৫৬ হাজার আওয়ামী লীগের নেতারা পদ-পদবি পাবে। ৮-১০ সহযোগী সংগঠন প্রত্যেক সংগঠন যদি ইউনিট কমিটি গঠন করতে পারে তবে ৫ লাখ নেতাকর্মী থাকবে আওয়ামী লীগের। এই ইউনিট কমিটি গঠনের ফলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ হবে সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন।’

ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কোন অফিস নেই। এসময় তিনি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে এর একটা ব্যবস্থা করারও আহ্বান জানান।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, ‘মহানগরের ইতিহাসে মহানগর কখনও এই ইউনিট সম্মেলন করেনি, এটাই প্রথম। যারা সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন, মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন তাদের আমরা দলে রাখবো না।’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নন কচি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল থেকে সম্মেলন করতে হবে। ত্যাগি নেতাকর্মীদের খুঁজে বের করে তৃণমূল পর্যায় থেকে আনতে হবে, তাদের দলে সংযুক্ত করতে হবে।’

সারাবাংলা/এনআর/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন