বিজ্ঞাপন

ভিডিও কনফারেন্সে খালেদার বিচার পরিচালনার আবেদন জানাবে দুদক

April 5, 2018 | 4:43 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারকার্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যেমে পরিচালনার আবেদন জানাবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার রাজাধানীর বকশিবাজার বিশেষ আদালতে খালেদার মামলার শুনানীর সময় এ কথা বলেন দুদকের এই আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ। তাই কারাকর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে উপস্থিত করতে পারেনি। তবে ভারতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনেক মামলার রায় ঘোষণার নজির আছে। একইভাবে খালেদা জিয়ার মামলার কার্যক্রম কারাগার থেকে করা যেতে পারে। এ বিষয়ে কারাকর্তৃপক্ষের কাছে আমরা আবেদন জানাব।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে মামলার কর্যক্রম শুরু হয়। আদালত শুরুর পর দুদক আইনজীবী কাজল বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী খালেদা জিয়া ওষুধ সেবন করছেন না। কারাগারে তিনি ব্যক্তিগত চিকিৎসক চান। ব্যক্তিগত চিকিৎসকের ওষুধ ছাড়া আর কারো ওষুধ তিনি সেবন করবেন না। ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান কাজল।

এসময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান মামলার জামিন বাড়ানোর আবেদন করলে হাজিরার দিন ধার্যের সময় পেছান আদালত। মামলার সব আসামীকে আদালতে হাজিরের জন্য ২২ এপ্রিল দিন ঠিক করেন। সেইসঙ্গে খালেদা জিয়াসহ সব আসামির জামিন বর্ধিত করে আদেশ দেন বিচারক আখতারুজ্জামানের আদালত।

এদিকে আদালতের কার্যক্রম শেষে রেজ্জাক খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে ওষুধ খাচ্ছেন না, মোশাররফ হোসেন কাজল একথা বলতে পারেন না।’  কথাটি কারাকর্তৃপক্ষের মাধ্যেমে আসতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

সারাবাংলা/এআই/আইএ/এমএস

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন