বিজ্ঞাপন

আমরা রঙিন খোয়াব দেখছি, আপনারা দুঃস্বপ্ন দেখছেন: কাদেরকে ফখরুল

October 13, 2021 | 4:10 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব কালকে বলেছেন আমরা নাকি রঙিন খোয়াব দেখছি। আর আপনারা কী দেখছেন? দুঃস্বপ্ন, প্রতিমুহূর্ত দুঃস্বপ্ন দেখছেন। এই বুঝি বিএনপি আসল, আমাদের ক্ষমতা গেল।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আফসার আহমদ সিদ্দিকীর ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণ সভা আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে আমরা ভয়ংকর ঘোরতর দুঃসময় অতিক্রম করছি। এতো বড় দুঃসময় এ দেশে কখনো এসেছে কী না আমার জানা নাই। আমরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, আমরা যুদ্ধের সঙ্গে ছিলাম, তখনও এতো বড় দুঃসময় ছিল না। আমরা চিনতাম আমাদের শত্রু কে, পাকিস্তান আমার শত্রু। তাদের সঙ্গে লড়াই করে আমাকে জয়লাভ করতে হবে এবং তখন আমরা সব এক হয়ে গিয়েছিলাম। যারা ওপারে গিয়েছিল তারাও, ভেতরে যারা ছিল তারাও, সব এক ছিল। আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল এদেরকে সরাতে হবে, জিততে হবে।

‘আজকে যাদের যুদ্ধে যাওয়ার সময়, সংগ্রাম করার সময়, এই দুঃসময়কে যারা দূর করবে, যারা এই অন্ধকারকে দূর করে আলো নিয়ে আসবে, তারা কোথায়? সেই যুবক কোথায়? সেই তরুণ কোথায়? তাদের তো সামনে আসতে হবে। তাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে, তাদেরকে অবশ্যই প্রতিটি সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে হবে। এটা ছাড়া উপায় নাই। কারণ, আমাদের বয়স হয়ে গেছে। আমাদের যখন যৌবন ছিল, তারুণ্য ছিল আমরা লড়াই করেছি, আমরা একটা দেশ স্বাধীন করেছি। এখন যারা তরুণ, তাদেরকে তৈরি হয়ে এগোতে হবে, তাদেরকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে, তাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে’- বলেন মির্জা ফখরুল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এই সরকার দেশের যে অবস্থা করেছে, তা বারবার বলতে ভালোও লাগে না। শেষ করে দিয়েছে, কোনো কিছু অবশিষ্ট রাখেনি। কোথাও কোনো কিছু নেই। যেখানে আপনি একটু আস্থা রাখতে পারবেন, একটু প্রাণ খুলে শ্বাস নিতে পারবেন সেই অবস্থা তারা দেশের মধ্যে রাখেনি। শ্বাসরুদ্ধকর একটা পরিবেশ দেশের মধ্যে বিরাজ করছে। কেউ নিরাপদ নয়, প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, দুর্নীতির খবর। এখন নতুন করে খবর বেরিয়েছে ই-কমার্স। এই ই-কমার্স এর মাধ্যমে যারা টাকা-পয়সা লুট করে নিচ্ছে তারা কারা? কাদের প্রশ্রয়ে এই লুণ্ঠন হচ্ছে, কারা তাদেরকে প্রোকেটশনটা দিচ্ছে? সবাই এই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একজনের (ইভ্যালির রাসেল) ছবিও আছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা ক্ষমতার পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের পকেট কেটে জনগণকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে, তারা সরকারের প্রশ্রয়েই আছে। এরাই আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে একেবারে ফোকলা করে দিয়েছে। কিচ্ছু নেই, এম্পটি একেবারে। একেবারে পুরোপুরিভাবে লুট করে নিয়ে গেছে। প্রত্যেকটি ব্যাংক বিপদগ্রস্ত হয়ে আছে। ব্যাংক থেকে আওয়ামী লীগের লোকেরা ছাড়া কেউ লোন পায় না। ডাইরেক্টর কারা হয় আওয়ামী লীগের লোকদেরকেই। ১০ কোটি টাকা লোন নিলে পাঁচ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়। বাকি পাঁচ কোটি টাকা আর ফেরত দিতে হয় না। যেহেতু আওয়ামী লীগের হুকুমে হয়েছে লোন, সেহেতু ওই লোন ফেরত না দিলেও চলবে। কেন হচ্ছে এ রকম? কারণ স্বয়ং সরকার প্রধান বলেছেন, যে যা পার খেয়ে ফেল।’

আফসার আহমদ সিদ্দিকী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাহানারা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন