বিজ্ঞাপন

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা, সর্বাধিক ‘আয়নাবাজি’

April 5, 2018 | 4:24 pm

।।এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : ২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের চূড়ান্ত নাম প্রকাশ করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার (৪ এপ্রিল) চূড়ান্ত হয় এই তালিকা। গেজেট আকারে তা প্রকাশ করা হয়েছে তথ্যমন্ত্রণালয়ের ওয়েবসেইটে।

২০১৬ সালে সর্বাধিক ৭টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে ‘আয়নাবাজি’। শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক এবং শ্রেষ্ঠ রূপসজ্জাকর বিভাগে পুরস্কার জেতে আয়নাবাজি। এছাড়া ৪টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে নাদের চৌধুরী পরিচালিত ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’। তিনটি করে পুরস্কার জিতেছে তৌকির আহমেদের ‘অজ্ঞাতনামা’ এবং গৌতম ঘোষের ‘শঙ্খচিল’।

বিজ্ঞাপন

চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী ২০১৬ সালে যুগ্মভাবে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন ফরিদা আক্তার ববিতা ও আকবর হোসেন পাঠান ফারুক।

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অজ্ঞাতনামা, ‘ঘ্রাণ’ সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘জন্মসাথী’।

অমিতাভ রেজা চৌধুরী ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক। প্রধান চরিত্রের অভিনেতার চরিত্রে ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

‘অস্তিত্ব’ সিনেমার জন্য নুসরাত ইমরোজ তিশা ও ‘শঙ্খচিল’ সিনেমার জন্য কুসুম শিকদার যুগ্মভাবে প্রধান চরিত্রের অভিনেত্রী বিভাগে হয়েছেন সেরা।

পার্শ্ব চরিত্রের সেরা অভিনেতা হয়েছেন যৌথভাবে আলীরাজ (পুড়ে যায় মন) ও ফজলুর রহমান বাবু (মেয়েটি এখন কোথায় যাবে)। পার্শ্ব চরিত্রের সেরা অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ, ‘কৃষ্ণপক্ষ’ সিনেমার জন্য।

‘অজ্ঞাতনামা’ সিনেমার জন্য সেরা খল চরিত্রের অভিনেতা শহীদুজ্জান সেলিম। আনুম রহমান খান (শঙ্খচিল) হয়েছেন শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী।

শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক ইমন সাহা (মেয়েটি এখন কোথোয় যাবে), ‘নিয়াত’ সিনেমার জন্য মো: হাবিব সেরা নৃত্য পরিচালক, সেরা গায়ক ওয়াকিল আহমেদ ‘দর্পন বিসর্জন’ সিনেমায় ‘অমৃত মেঘের বারি’ গানের জন্য, শ্রেষ্ঠ গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন ‘কৃষ্ণপক্ষ’ সিনেমায় ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো’ গানের জন্য।

বিজ্ঞাপন

মেয়েটি এখন কোথায় যাবে সিনেমার ‘বিধিরে ও বিধি বিধি’ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও একই সিনেমার একই গানের জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকার ইমন সাহা।

‘অজ্ঞাতনামা’ সিনেমার জন্য সেরা কাহিনীকার তৌকির আহমেদ এবং ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ সিনেমার জন্য রুবাইয়াত হোসেন হয়েছেন সেরা সংলাপ রচয়িতা।

শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার যুগ্মভাবে অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার জন্য। শ্রেষ্ঠ সম্পাদক ইকবার আহসানুল কবির (আয়নাবাজি), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক উত্তম গুহ (শঙ্খচিল), সেরা চিত্রগাহক রাশেদ জামান (আয়নাবাজি), রিপন নাথ সেরা শব্দগ্রাহক (আয়নাবাজি), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা বিভাগে যুগ্মভাবে সাত্তার (নিয়তি) ও ফারজানা সান (আয়নাবাজি) এবং শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান মানিক (আন্ডার কনস্ট্রাকশন)।

জাতীয় চলচ্চিত্র বিভাগে নিয়মিত ২৮টি বিভাগের মধ্যে ২৬টি বিভাগে দেয়া হয়েছে পুরস্কার। আজীবন সম্মাননা, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, প্রধান চরিত্রের অভিনেত্রী, পার্শ্ব চরিত্রের অভিনেতা, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার ও শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা বিভাগে যুগ্মভাবে দেয়া হয়েছে পুরস্কার।

এ বিষয়ে গেলো ২৮ মার্চ সারাবাংলায় প্রকাশিত সংবাদ

যারা পাচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

সারাবাংলা/পিএ 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন