বিজ্ঞাপন

সুন্দরবন ঘিরে ১৯০ শিল্প প্রতিষ্ঠান, ২৪টি লাল শ্রেণির

April 5, 2018 | 5:00 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের আশপাশে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ১৯০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোর মধ্যে ২৪টি লাল শ্রেণির। যা সুন্দরবনের জন্য হুমকিস্বরুপ বলে জানানো হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে।

বৃহস্পতিবার (০৫ এপ্রিল) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চে ওই প্রতিবেদন জমা দেয় পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

প্রতিবেদনটি দেখার পর আগামী মে মাসের ৯ তারিখের মধ্যে এ বিষয়ে রুল শুনানির জন্য প্রস্তুত করতে বলেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ মো. জাকির হোসেন ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কতগুলো শিল্প-কারখানা রয়েছে তার তালিকা ছয় মাসের মধ্যে জমা দিতে গত বছরের ২৪ আগস্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এ আদেশ অনুসারে পরিবেশ সচিব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে তিনি এ প্রতিবেদন দাখিল করে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে রিটের পক্ষের আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে দাখিলকৃত প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যায়, সুন্দরবনের ১০ কিলোমটারের মধ্যে ১৯০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে। এই ১৯০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাটি, পানি ও বায়ু দূষণকারী (লাল শ্রেণির) ২৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে। এই ২৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকোনোভাবেই সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকতে পারবে না। পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা (এনভায়রনমেন্টাল ক্রিটিক্যাল এরিয়া-ইসিএ) অর্ডিন্যান্স ১৯৯৯ অনুযায়ী প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকার মধ্যে এ ধরণের শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকার সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া বাকি যে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রভাব এর থেকেও বেশি। ফলে আদালত এই শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে ফেলার আদেশ দেবে কি দেবে না, সে ব্যাপারে ৯ মে পরবর্তী শুনানি হবে।’

সুন্দরবনের আশেপাশে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা শিল্প-কারখানাগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিতে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম হাইকোর্টে রিট করেন। এরপর ২৪ আগস্ট আদালত প্রতিবেদনচেয়ে রুল জারি করেন এবং নতুন কোনো শিল্প-কারখানার অনুমোদন দেওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দাপ্তরিক নথি পর্যালোচনা ও সরেজিমনে পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় সুন্দরবন সংলগ্ন ইসিএ এলাকায় সর্বমোট ১৯০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাট জেলায় ৭৮টি, খুলনায় ৯২টি ও সাতক্ষীরায় ২০টি রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ৩৬টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন