বিজ্ঞাপন

শ্যামলীতে মোটরসাইকেল শো-রুমে ডাকাতি, গ্রেফতার ৬

October 24, 2021 | 2:27 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর শ্যামলীতে ইডেন অটোর মোটরসাইকেল শো-রুমে ডাকাতির ঘটনায় মূলহোতা জহিরুল ইসলামসহ চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- খুলনার জহিরুল ইসলাম ওরফে জহির (৩৩), বরগুনার জসিম উদ্দিন (৩৪), পটুয়াখালীর জাহিদুল ইসলাম শিকদার (২৬), কিশোরগঞ্জের খায়রুল ভূঁইয়া (২০), বরগুনার রাকিব হাসান (২০) ও ঢাকার মো. নয়ন (২৮)।

গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় মিরপুরের শ্যামলীবাগ এলাকায় উত্তরা মটরসের ডিলার ইডেন অটোস শো-রুমে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলার সূত্র ধরে গতকাল (২৩ অক্টোবর) রাতে র‌্যাব-৪ অভিযান চালিয়ে ঢাকার ধামরাই ও কেরানীগঞ্জ থেকে ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করে।

রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে কাওরান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় ডাকাত দল ওই শো-রুমে প্রবেশ করে ম্যানেজার ওয়াদুদ সজীব এবং মটর টেকনিশিয়ান নুরনবী হাসানকে ধারালো চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় ডাকাত দলের কিছু সদস্য শো-রুমের দোতলায় উঠে গ্লাস, কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং ক্যাশ ড্রয়ার ইত্যাদি ভাঙচুর করে। ক্যাশ থেকে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ডেস্কটপ মনিটর নিয়ে ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মালিক এম আবদুল খালেক শেরেবাংলা নগর থানায় ঘটনার পরদিন একটি মামলা করেন (মামলা নং-১৩)।

র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারির পর ডাকাত দলের সদস্যসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত চারটি চাপাতি, শো-রুম থেকে লুট হওয়া এক লাখ তিরানব্বই হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ডাকাতিকালে তাদের পরিহিত দুইটি গেঞ্জি এবং একটি লুঙ্গি জব্দ করা হয়। ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা তাদের সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

র‌্যাবের পরিচালক বলেন, ডাকাত দলের সদস্যরা মোহাম্মদপুর কেন্দ্রিক একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। যার সদস্য সংখ্যা ৮-১০ জন। তারা সকলেই এই এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ অস্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে এবং এই সূত্রে পরস্পরের পরিচিত। এই চক্রটি ঢাকার মোহাম্মদপুর, বসিলা, শ্যামলী এবং আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ভাঙিয়ে গত কয়েক বছর যাবত এলাকার ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, নির্মাণাধীন ভবন মালিকদের নিকট চাঁদাবাজি করে আসছে। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে তারা ভুক্তভোগীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে থাকে। তারপরেও কেউ চাঁদা দিতে অসম্মত হলে তারা ভুক্তভোগীদের বাসাবাড়ী অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা ও ডাকাতি করে থাকে। গ্রেফতারকৃতদের নামে একাধিক চুরি, ডাকাতি এবং চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। এছাড়াও তারা এলাকায় মাদক ও চোরাই অটোরিকশার ব্যাবসা, চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত।

বিজ্ঞাপন

ইডেন অটো শোরুমের মালিকের কাছেও গত কয়েক মাস ধরে চাঁদা চেয়ে আসছিল। চাঁদা না পেয়ে তারা সবাই মিলে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। একপর্যায়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গত ১২ অক্টোবর ডাকাতি সম্পন্ন করে।

সারাবাংলা/ইউজে/এএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন