বিজ্ঞাপন

‘চাল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারলে উৎপাদন টেকসই করা সম্ভব’

October 24, 2021 | 6:20 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস মহামারি সত্ত্বেও দেশে মানুষ না খেয়ে নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। দেশের মানুষের চাল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনা গেলে চালের উৎপাদন টেকসই করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর: কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক কৃষি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। দৈনিক বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথি হিসেবে সকালে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এসময় তিনি বলেন, ‘করেনা মহামারি সত্ত্বেও এ দেশের মানুষ না খেয়ে নেই। এই সময়ে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের জোগান দেওয়া এবং কৃষির আধুনিকায়ন করা।’

চালের উৎপাদন বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রতি প্রায় ২০০ গ্রামের চাল খেয়ে থাকেন। কিন্তু আমাদের দেশে চাল খাওয়ার পরিমাণ প্রায় ৪০০ গ্রাম। এটি কমিয়ে আনতে পারলে আমাদের যে চালের উৎপাদন, সেটাকে টেকসই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।’

বিজ্ঞাপন

কৃষিপণ্য রফতানির জন্য কৃষির আধুনিকায়ন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রফতানি করে বড় অঙ্কের আয় করে। কিন্তু আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আর্ন্তজাতিক বাজারে প্রবেশ করতে হবে। এ জন্য কৃষির আধুনিকায়নের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে হবে।’

ফলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্যও সরকার কাজ করছে জানিয়ে ড. রাজ্জাক বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শীত না পড়লে আপেল গাছে ফুল আসে না। একসময়ে স্ট্রবেরিও আমাদের দেশে হতো না। এখন অনেক ভালো মানের স্ট্রবেরি উৎপাদন হচ্ছে। আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে এ দেশে সারাবছর আম পাওয়া যাবে— এমন পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

পেঁয়াজের ‘জ্বালাতে’ অস্থির হয়ে গেছেন মন্তব্য করে একই আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমাদের মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ২০ শতাংশ নষ্ট হয় বলে চাহিদার বেশি উৎপাদন করেও পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। আর পেঁয়াজ আমদানির ৯০ শতাংশই হয় ভারত থেকে। তাই ভারতে সমস্যা তৈরি হলে আমাদের দেশেও একই সমস্যা দেখা দেয়। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেই মূলত পেঁয়াজ নিয়ে সমস্যাটা হচ্ছে। এ সময়ে পেঁয়াজের উৎপাদন করা যায় কি না এবং উৎপাদিত পেঁয়াজের যথাযথ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে কাজ করার দরকার আছে।

বিজ্ঞাপন

সমাপনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, আমাদের কৃষির বৈচিত্র্যায়ন হয়েছে, বাণিজ্যিকীকরণ হচ্ছে। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। কিন্তু এ কথা ঠিক, এখনো আমরা আমাদের সমমানের দেশগুলো যেমন— ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ বেশকিছু দেশের অনেক পিছিয়ে আছি।

বণিকবার্তার সম্পাদক দেওয়া হানিফ মাহমুদের সঞ্চলনায় সমপানী অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএলআরআই’র সাবেক মহাপরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম, মৎস্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ, লাল তীর লাইভস্টকের চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল মিন্টু, ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, ইউএসএআইডি বাংলাদেশ এর মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন স্টিভেন্স ও আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন