বিজ্ঞাপন

গণসমাবেশ থেকে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি

April 6, 2018 | 8:40 pm

।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দেশে ধর্ষণ মহামারী আকার ধারণ করেছে। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। অথচ জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। পিছিয়ে পড়বে নারীর অগ্রযাত্রা। আর নারী পিছিয়ে পড়লে রাষ্ট্রও পিছিয়ে পড়বে। তাই ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।

শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক গণসমাবেশ ও প্রতিবাদী গানের অনুষ্ঠান থেকে বক্তারা এই দাবি করেন। ‘অপরাজেয় বাংলা’ ও  ‘গৌরব একাত্তর’সহ সমমনা সংগঠনগুলো এই সমাবেশ ও প্রতিবাদী গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

 

 

গণসমাবেশে অংশ নিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন ও ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। পাঠ্য বইয়ে ধর্ষণ ও নৈতিক শিক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। সবাইকে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।

বিজ্ঞাপন

দৈনিক সারাবাংলা, সারাবাংলা ডটনেট ও গাজী টেলিভিশন (জিটিভি)’র এডিটর ইন চিফ বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, বর্তমান নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে যেন বাংলাদেশ একাত্তরে ফিরে গেছে। দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ থাকলেও ধর্ষণের ঘটনা এখনও বন্ধ হয়নি।

 

অপরাজেয় বাংলার আহ্বায়ক এইচ রেহমান মিলু বলেন, ধর্ষণের অপরাধ আর হত্যার অপরাধ একই। যিনি ধর্ষিত হচ্ছেন তিনি মানসিকভাবে প্রতিনিয়তই মারা যাচ্ছেন। অবিলম্বে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

গণসমাবেশে প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন, শিল্পী ঝর্ণা ব্যাপারী, হাসান খান, গণসংগীত শিল্পী আরিফ রহমান ও সনাতন ব্যান্ড। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন গৌরব একাত্তরের সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহিন।

সমাবেশে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফা রহমান রুমা, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সহসভাপতি ডা. মাহবুবুর রহমান, প্রজন্ম একাত্তরের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ রেজা নূর এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সালমা আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাবাংলা/আরএম/আইএ/এমআইএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন