বিজ্ঞাপন

জামিনে মুক্ত টিনু বললেন— ভালো হয়ে চলব

October 28, 2021 | 8:35 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ৭৮৯ ভোট পেয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়া কথিত যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনু কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তির পর ‘কিশোর গ্যাং লিডার’ হিসেবে পরিচিত টিনু সারাবাংলাকে বলেছেন, ‘আল্লাহ যখন একটি সুযোগ আমাকে দিয়েছেন, আমি অবশ্যই ভালো হয়ে চলব।’

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে টিনু চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। এসময় কারাফটকে তাকে গলায় মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান অনুসারী কয়েকজন তরুণ-যুবক। মুক্তির পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিনি নগরীর চশমাহিলে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এসময় নুর মোস্তফা টিনু মোবাইল ফোনে সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকায় নিউজ হয়, অনেকে অনেক কথা বলে, এগুলোর সত্যতা কতটুকু সেটা ওপরওয়ালা জানেন। উপরে আল্লাহ আছেন, আমি কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। হ্যাঁ, আমার দোষত্রুটি একেবারে নেই সেটা বলব না, তবে আল্লাহ যখন এবার একটা সুযোগ দিয়েছেন, আমি অবশ্যই ভালো হয়ে চলব।’

কিশোর অপরাধী গ্রুপের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কথা পরিস্কার। যারা আমার নাম ভাঙিয়ে অপরাধ করবে, তারা চকবাজারে থাকতে পারবে না। কোনো ছেলের নামে রিপোর্ট এলে আমি নিজে তাকে প্রশাসনের হাতে তুলে দেব। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। সবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমি মিন্টু ভাইয়ের (প্রয়াত কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু) অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে চাই।’

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তারিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সব মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র পাওয়ার পর যাচাইবাছাই শেষে ওনাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’

গত ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চসিকের চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচনে নুর মোস্তফা টিনু ৭৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রউফ পান ৭৭৩ ভোট। চট্টগ্রাম পৌরসভার কমিশনার থেকে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পর্যন্ত- সাতবারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টুর মৃত্যুতে কাউন্সিলর পদটি শূন্য হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনের সময় নুর মোস্তফা টিনু কারাগারে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখা ও হত্যচেষ্টাসহ থানায় তিনটি মামলা আছে। এর মধ্যে দু’টি মামলায় তিনি আগেই জামিন পান। সর্বশেষ অস্ত্র আইনের মামলায় গত ২৬ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন।

যুবলীগ নেতা দাবি করলেও সংগঠনটির কোনো পদে নেই টিনু। একসময় সাবেক এক মন্ত্রীর অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিতেন। সাংসদ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল শিক্ষা উপমন্ত্রী হওয়ার পর তার বলয়ে ভেড়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এখন অবশ্য তিনি উপমন্ত্রী বলয়ের লোক হিসেবেই চট্টগ্রামে পরিচিত।

চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টায় বারবার সংঘাতে নাম এসেছে টিনুর। ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন অস্ত্রসহ। পরে জামিন পেলেও নির্বাচনের মাস তিনেক আগে আবার জেলে যান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন