বিজ্ঞাপন

কচ্ছপ গতিতে এগোচ্ছে পাতানো ম্যাচের তদন্ত!

April 6, 2018 | 9:27 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকাঃ ‘পেশাদার লিগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পাতানো ম্যাচের অভিযোগ’ এ নিয়ে কঠোর অবস্থানে থাকার কথা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের! ফুটবল পাড়ায় কেটে গেছে আরও দুই মাস। গতি পাচ্ছে না পাতানো ম্যাচের তদন্ত। মন্থর হয়ে এগোচ্ছে।

যার ফলে ঝুলে আছে এবার বিপিএলে অবনমন হয়ে যাওয়া ফরাশগঞ্জ। একদিকে ক্লাবগুলো যখন দল গোছাতে ব্যস্ত তখন তদন্তের সিদ্ধান্তের অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে বুড়িগঙ্গা পাড়ার ক্লাবটি।

পাতানো ম্যাচের সিদ্ধান্ত হলে বদলে যেতে পারে চিত্র। পয়েন্ট টেবিলে ক্লাবগুলো ওঠানামা হতে পারে খানিক। সেই অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে ক্লাবটির। ক্লাব ফুটবল কর্মকর্তা মানস বোস বাবু রাম সেই অনিশ্চয়তার কথা জানালেন।

বিজ্ঞাপন

গত ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে তদন্ত। তদন্তের বয়স দুই মাস পার হয়ে গেছে। এতোদিনেও নেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আরও সময় নিতে পারে বাফুফে। তবে, এর মাঝে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। সন্দেহভাজন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের ডাকা হয়েছে।

গত পেশাদার লিগের দু’টি ম্যাচ নিয়ে পাতানো খেলার অভিযোগ উঠেছে। এর একটিতে ফরাশগঞ্জ জড়িত বলে অভিযোগ ওঠায় তদন্ত করছে বাফুফের পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি। রেলিগেশন এড়াতে শেখ জামালের বিপক্ষে তাদের জয়কেই সন্দেহ করেছে রহমতগঞ্জসহ অন্যরা। এরপর সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে রহমতগঞ্জের জয়কে সন্দেহ করতে থাকে ফরাশগঞ্জ। উল্লেখ্য, রহমতগঞ্জের এই জয়ই লিগ টেবিলের তলানিতে নিয়ে যায় ফারাশগঞ্জকে। এই ম্যাচ নিয়েও তদন্ত চলছে। এভাবে লিগ টেবিল অনুমোদিত হলে বিসিএলে নেমে যাবে পুরান ঢাকার দলটি।

অথচ পাতানো খেলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় ঝুলে আছে সব। বাবু রামও তাদের ঝুলে থাকার কথা উল্লেখ করলেন। পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি অবশ্য কয়েকটি সভা করেছে। অভিযুক্ত কাবগুলোর খেলোয়াড়দের সাথে কথা হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত রায় দেয়নি। তবে তারা সন্দেহজনক উপাদান পেয়েছে। তা ফরাশগঞ্জ ও শেখ জামাল ম্যাচকে ঘিরে। যদিও কোনো আলামত পায়নি সাইফ স্পোর্টিং ও রহমতগঞ্জ ম্যাচে। বাফুফে সূত্রে জানা গেছে এই তথ্য। আবার স্বাধীনতা কাপে শেখ জামাল ও রহমতগঞ্জ ম্যাচেও পাতানো খেলার অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত চলছে এই ম্যাচকে ঘিরেও। ফ্রেশ ম্যাচ বলা হয়নি এটিকে।

বিজ্ঞাপন

কবে এই পাতানো ম্যাচের শাস্তি হবে এই প্রসঙ্গে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানান, ৭ এপ্রিলের আগে আমরা এই বিষয়ে কোনো সময় দিতে পারছি না। আগামীকাল জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলোর (ডিএফএ) কর্মকর্তাদের ঢাকায় ডেকে এনে টাকা দেয়া হবে জেলা লিগের জন্য। এরপর এই পাতানো খেলা বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে। তবে এতটুকু জানি, পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি বেশ কিছু কাজ এগিয়ে নিয়েছে।

এ দিকে বাবু রাম জোর দিয়ে বললেন, আমরা কোনো পাতানো ম্যাচ খেলিনি। ম্যাচের দিন মাঠে যে কথা বলেছিলাম আজো সে একই কথা বলছি। বরং যেসব ম্যাচ পাতানো হয়েছে বাফুফে সেগুলোর বিচার করুক।

পাতানো খেলার কথা কেউই স্বীকার করেনি। রহমতগঞ্জ, শেখ জামাল ও সাইফ স্পোর্টিং কাব সবাই অস্বীকার করেছে। সব কিছুই প্রমাণ হয় তদন্তে। এবারো প্রমাণের অপেক্ষায়।

সময় গড়িয়ে যায়, তদন্তে অগ্রগতি হয়না। আরেকটু অপেক্ষা বাড়লো বৈকি!

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন