বিজ্ঞাপন

জয়ের আগেই বিজয়ের মালা প্রার্থীর গলায়!

November 1, 2021 | 11:31 pm

আল হাবিব, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সুনামগঞ্জ: শান্তিগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হবে ২৮ নভেম্বর। সেই নির্বাচনে লড়াই করার জন্য ইতোমধ্যে মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাশালী দল আওয়ামী লীগ। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পাশাপাশি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন অনেকেই। আর শান্তিগঞ্জের এই আটটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে জয়ী হতে মাঠে নেমেছেন ৩০ জন প্রার্থী। এছাড়া ইউপি সদস্য হতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪০০ প্রার্থী।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১ নভেম্বর) সরজমিনে দেখা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রার্থীরা বড় বড় ট্রাক, বাস ও মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন করে মিছিল সহকারে মনোনয়ন জমা দিতে আসছেন। শুধু তাই নয়, অনেককে আবার মালা পরে আনন্দ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আসতে দেখা গেছে। তাদের এই মিছিল ও শোডাউনের কারণে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয় সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের যাত্রীদের।

সর্মথকদের নাচ, গান, ঢোল, বাঁশি দেখে মনে হচ্ছিল যে, নিবার্চনের আগেই জয়লাভ করেছেন তাদের পছন্দের প্রার্থী! এখানে শেষ নয়, অনেক প্রার্থী মালা পরে মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন, অনেকে আবার মনোনয়ন জমা দিয়ে সর্মথকদের কাছ থেকে মালা পরছেন। এক কথায় বলতে গেলে, নিবার্চনে জয়ের আগেই বিজয়ের মালা গলা পরছেন প্রার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় বাসিন্দা রিয়াদ মোল্লা সারাবাংলাকে বলেন, ‘নিবার্চন আসছে। এখন প্রার্থীরা কত স্বপ্ন দেখাবেন ইউনিয়নের মানুষদের। শুধু নিবার্চনটা শেষ হয়ে যাক, তাদরে আর টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

যানজটে ভোগান্তিতে পড়া বিপ্লব আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের করোনা কি শেষ? নিবার্চন আসতেই কি করোনা নির্মূল হয়ে গেল? চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রার্থীরা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলছেন নির্বাচনের জয়লাভ করার জন্য।’

বিজ্ঞাপন

পশ্চিমবীর গাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামছুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্রামের সকলের মতামত নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। আমি যখন মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য বের হলাম তখন গ্রামের সবাই ভালবেসে আমাকে বিজয়ের মালা পরিয়ে দিয়েছে।’

এসব বিষয়ে জানতে চানওয়া হলে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘অনেক প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মিছিল নিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যেহেতু ইউনিয়ন পরিষদের নিবার্চন সেহেতু নিবার্চনের আমেজটা একটু বেশি। আমরা প্রার্থীদের সর্তক করে দেব, যাতে কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন না করে। আর যদি কেউ আমাদের কথা না শোনে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন