বিজ্ঞাপন

ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

November 8, 2021 | 6:11 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

ঢাকা: গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চেয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সংগঠনের নেতারা বলছেন, সরকার ডিজেল এবং কেরোসিনের মূল্য ২৩% বৃদ্ধি করলে সড়ক ও নৌ-পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদের নামে ধর্মঘট শুরু করে। অথচ সেটা ছিল মূলত তাদের গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট। কারণ গতকাল তারা সরকারের সঙ্গে বৈঠকে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর বিষয়ে আলোচনা করেননি, করেছেন ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে আলোচনা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, মোহাম্মদ শাজাহান সিদ্দিকী, আব্দুল হামিদ শরীফ এবং নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ‘সিএনজির মূল্য বৃদ্ধি না হলেও সিএনজি চালিত গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরাও ধর্মঘট করেছেন। সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করেনি বা করতে চায়নি। হঠাৎ এই ধর্মঘটের কারণে দেশের মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার।’

গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ভাড়া বৃদ্ধির দাবির প্রেক্ষাপটে সরকার গতকাল সড়ক পরিবহনের ভাড়া ২৭% এবং নৌ-পরিবহনের ভাড়া ৩৫% বৃদ্ধি করেছে, যা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জনগণের প্রতি সরকারের বৈরি আচরণ ছাড়া কিছুই নয়। ইতোমধ্যেই গণপরিবহনগুলো সরকার নির্ধারিত বর্ধিত ভাড়ার চেয়ে বেশি হারে প্রায় ৫০ শতাংশ হারে বর্ধিত ভাড়া আদায় শুরু করেছে। অথচ তদারকি বা মনিটরিংয়ের কেউ নেই, বলেও জানান নেতারা।

বিজ্ঞাপন

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নেতারা বলেন, ‘বর্তমানে দেশে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ দুর্বিষহ অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। করোনার অভিঘাতে লক্ষ-লক্ষ মানুষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি হারিয়েছেন। দেশে নতুন করে ৩ কোটি ২৪ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়েছে। এই চরম দুর্দিনে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির ফলে দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য আরেক দফা বৃদ্ধি-সহ জীবনযাত্রার সর্বক্ষেত্রে ব্যয় বেড়ে যাবে।’

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, রোড সেফটি ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন লক্ষ্য করছে, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ‘পুলিশ পাস’ এর নামে ঢাকার গণপরিবহনে বিনা ভাড়ায় যাতায়াত করছেন। অথচ অনেক বাস কোম্পানি ছাত্রদের অর্ধেক ভাড়া বা হাফ পাস গ্রহণ করে না। আমরা জানতে চাই, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের এই ‘পুলিশ পাস’ কি অফিসিয়ালি অনুমোদিত? নাকি বিশেষ কারণে সুবিধা আদায় করার পদ্ধতি? বিষয়টি পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে জনমানসে বৈষম্যমূলক ধারণার সৃষ্টি করছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নেতারা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের আর্থিক দুরবস্থার বিষয়টি বিবেচনা করে জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দিয়ে হলেও গণপরিবহনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন