বিজ্ঞাপন

‘বড় ভাই’য়ের দেওয়া পানীয় খেয়ে খিলগাঁও মডেলের ৩ ছাত্র হাসপাতালে

November 8, 2021 | 6:51 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চেতনানাশক মেশানো কোমল পানীয় খেয়ে পঞ্চম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের চেয়ে বয়সে কিছুটা বড় স্থানীয় এক ‘বড় ভাই’ তাদের ওই কোমল পানীয় খাইয়েছিল বলে জানা গেছে। অসুস্থ তিন শিক্ষার্থীকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে খিলগাঁও তিলপাপাড়া মডেল প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ তিন শিক্ষার্থী হলো— সোলাইমান সরদার (১২), মো. মাহিন শিকদার (১১) ও মো. রাকিব সরকার (১২)। তারা তিন জনই ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

খিলগাঁও থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৈয়দ রাসেল তাদের তিন জনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। ঢামেক হাসপাতালে এএসআই রাসেল জানান, দুপুরে খবর পেয়ে স্কুল থেকে অসুস্থ অবস্থায় তাদের তিন জনকে খিদমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাদের ঢাকা মেডিকেলে নিতে বলেন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।

এএসআই রাসেল বলেন, তিন শিক্ষার্থীর স্টমাক ওয়াশ করানো হয়েছে। এরপর স্বজনদের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের অবস্থা এখন স্বাভাবিক।

বিজ্ঞাপন

অসুস্থ ছাত্ররা জানায়, একই এলাকায় আশিক (১৪) নামে এক কিশোর তাদের পূর্বপরিচিত। দুপুরবেলা সে তাদের স্কুলে যায়। সেখানে তাদের ফুসলিয়ে ও ভয় দেখিয়ে রাকিবের কাছ থেকে ২০ টাকা নেয় আশিক। সেই টাকা দিয়ে সে এক বোতল কোমল পানীয় কিনে আনে। পরে সেগুলো চার জন মিলে পান করে। এরপর আশিক চলে গেলে তারা তিন জন স্কুলের ভেতরে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

তিন শিক্ষার্থীর মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব দেখে শিক্ষকরা তাদের স্বজনদের এবং একইসঙ্গে পুলিশকেও খবর দেন। শিক্ষকদের ধারণা, কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক কিছু মিশিয়ে তিন শিক্ষার্থীকে খাইয়েছিল আশিক।

এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুকুল আলম জানান, ঘটনাটি শোনার পরপরই ওই স্কুলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।

বিজ্ঞাপন

ওসি বলেন, আশিক নামে অভিযুক্ত ওই কিশোর কোনো স্কুলেই পড়ালেখা করে না। সে বহিরাগত ছিল। স্কুলে ঢুকে ওই তিন জনকে চেতনানাশক কিছু খাইয়েছে বলে জানতে পেরেছি। অসুস্থ ছাত্ররা সুস্থ হয়ে থানায় এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

সারাবাংলা/এসএসআর/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন