বিজ্ঞাপন

সমাবেশ থেকে ‘স্মারকলিপি প্রদান’ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

November 22, 2021 | 11:43 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশের বাইরে চিকিৎসার দাবিতে আগামী বুধবার (২৪ নভেম্বর) সারাদেশে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) স্মারকলিপি দেবে বিএনপি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২২ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আগামী ২৪ নভেম্বর সারাদেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। আমরা আশা করব, আমাদের এই দাবি মেনে নিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার। তানাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’

সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৯টার মধ্যে প্রেস ক্লাবের সামনে কয়েক হাজার নেতাকর্মী জড়ো হন। সকাল ১০ টার মধ্যে দলের শীর্ষ নেতারাও হাজির হন সমাবেশস্থলে। সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ সমাবেশ স্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রেস ক্লাব এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি বিএনপির নেতাকর্মীরাও কাজ করেছে। লিখিত অনুমতি না থাকায় দ্রুত সমাবেশ শেষ করে বিএনপি।

আরও পড়ুন: খালেদার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশে বিএনপি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, শিরিন সুলতানা, ঢাকা মহানর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

গুরুতর অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এবছর এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত টানা ৫৪ দিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি। খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছর ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। তখন থেকে তিনি গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজা’য় রয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে বেশ কয়েকবার আবেদন করেছে তার পরিবার। কিন্তু সরকার সেই আবেদন আমলে নেয়নি। এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য হলো- সাময়িক মুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাকে দেশে রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে। বিদেশে যেতে হলে কারাগারে ফিরে আবেদন করতে হবে।

সারাবাংলা/এজেড/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন