বিজ্ঞাপন

নোবিপ্রবিতে সাপের উপদ্রব, আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা

November 25, 2021 | 11:10 am

নোবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট

নোয়াখালী: সম্প্রতি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের রাস্তা, মাঠ, লেকপাড় ও হল সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলছে বিষধর সাপের। এ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে সাপের কামড়ে অসুস্থদের চিকিৎসায় নেই কোনো ব্যবস্থা। নেই প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ আব্দুস সালামের হলের সামনে গতকাল বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে মনোক্লেড কোবরা বা পদ্ম গোখরা সাপের দেখা মেলে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত সোমবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিবি খাদিজা হলের সামনে ফনাহীন বিষাক্ত কালাচ (ক্রেইট) সাপ দেখা যায়। মেডিকেলে কোনো প্রতিষেধক না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা রিংকি সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুপুরে সালাম হলের সামনে নিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ পদ্ম গোখরা সাপ আমার সামনে চলে আসে। আমি অনেক ভয় পেয়ে যাই। সাপের ভয়ে ক্যাম্পাসে আসা দায় হয়ে পড়েছে।’

বিজ্ঞাপন

ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. পারভেজ হাসান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে দিন ও রাতে সাপ দেখা যাচ্ছে। কাউকে সাপে কাটলে অ্যান্টিভেনম দেওয়ার ব্যবস্থা প্রশাসনের নেওয়া উচিত। মেডিকেলে নাপা ও গ্যাসের ট্যাবলেট ছাড়াতো কিছুই নেই।’

আবাসিক হলের শিক্ষার্থী মোহন মিয়া বলেন, ‘ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা এখনো ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হয়নি। করোনাকালে প্রকৃতিকভাবে নানা গাছপালা জন্ম নিয়েছে। এর সঙ্গে সাপের উপদ্রবও বেড়েছে। এ জন্য প্রতিদিনই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। প্রশাসনের উচিত খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’

নোবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমাত আরা পারভীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের মেডিকেলে অ্যান্টিভেনম নেই। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলব।’

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এএসএম শরিফুর রহমান বলেন, ‘সাপের আবাসস্থলে সাপ বসবাস করবে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু আমরা যদি আমাদের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন না রাখি তাহলে সাপ এসব স্থানে এসে বসবাস করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেই জন্য খুব দ্রুত ঝোপঝাড়গুলো পরিষ্কার করা আবশ্যক। এছাড়াও রাসায়নিক কেমিক্যাল ব্যবহার করে সাপ তাড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।’

এ বিষয়ে শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষ্কার করছি। প্রায় ৯৫ ভাগ ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা শেষ। আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি অপরিষ্কার জায়গাগুলো পরিষ্কার শেষ হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সাপের উপদ্রবের বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সাপের কামড়ে অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য যে অ্যান্টিভেনম ও লাইফ সেভিং ড্রাগ প্রয়োগ করা হয়, সেটির জন্য ডাক্তারদের বিশেষ প্রশিক্ষণের দরকার হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই। এই বিষয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদে চলাচল করতে পারে এজন্য ক্যাম্পাসে থাকা ঝোপঝাড় দ্রুত পরিষ্কার করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন