রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে তিন জন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ৩ জন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন। রোববার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে এই ঘটনাগুলো ঘটে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা হলেন, আমজাদ হোসেন (৩৫), মো. দাইয়ান (৪৭) ও আবুল কালাম আজাদ (৩৭)।

আমজাদ হোসেনের শ্যালক মো. রনি জানান, আমজাদ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় থাকে। এলাকাতে কাপড়ের ব্যবসা করে। আমজাদের শ্বশুর আমানুল্লাহ রাজধানীর রামপুরায় একটি হাসপাতালে ভর্তি। আজ তাকে হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেবে। হাসপাতালের বিল পরিশোধের জন্য ২ লাখ টাকা নিয়ে আমজাদ সোনারগাঁও থেকে রামপুরার হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল। আসমানি পরিবহনের একটি বাসে করে আসার সময় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন তিনি। ওই বাসের কর্মচারীরা তাকে অচেতন অবস্থায় ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের সামনের রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে যায়। পরে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খবর পেয়ে বেলা দেড়টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে গুলিস্তান স্টেডিয়ামের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দাইয়ানকে। তার চাচাতো ভাই মো. রাজিব জানান, ডিপিডিসির লালবাগ জোনে চাকরি করেন দাইয়ান। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায়। গ্রাম থেকে আজ দুপুরে সে ঢাকায় আসছিল। পথে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁওয়ে নেমে সেখান থেকে ঢাকায় আসার উদ্দেশে দোয়েল পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। ওই বাসের মধ্যেই সে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েন। পরে ওই বাসের কর্মচারীরা তাকে গুলিস্তান স্টেডিয়ামের পাশে এনে নামিয়ে দেয়। তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন থেকে খবর দেওয়া হয়। তার কাছ থেকে কি কি নিয়ে গেছে তা জানা যায়নি।

এদিকে মিরপুর থেকে উদ্ধার ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদের ফুপাতো ভাই মো. নাজমুল হক জানান, কালামের বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলায়। এলাকা থেকে তিনি নকশি কাঁথা কিনে বিভিন্ন জায়গায় সরবারহ করেন। আজ গ্রাম থেকে রাজধানীর উত্তরায় এসেছিলেন এক আত্মীয়ের বাসায়। দুপুরে আত্মীয়ের বাসা থেকে বের হন বান্দরবানে যাওয়ার জন্য। কিছুক্ষণ পর তারা শুনতে পারেন মিরপুর ১ নম্বর সেকশনে রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়ে আছেন আবুল কালাম। সেখান থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনটি পাওয়া গেলেও মানিব্যাগ পাওয়া যায়নি।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, বিকালে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তাদের ৩ জনকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

সারাবাংলা /এসএসআর/এসএসএ